সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মামলার নথি থেকে জানা গিয়েছে, নজরুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সাত ব্যক্তি। অধিকাংশ সাক্ষী পুলিসের লোকজন। ব্রিটিশ পুলিসের অভিযোগ, সরকারকে সন্ত্রস্ত এবং লোক ক্ষেপানোর জন্য এই কবিতা লিখেছেন অভিযুক্ত। বিচার চলাকালীন বাজেয়াপ্ত কবিতার নথি ও অন্যান্য নথিপত্র ডকুমেন্ট হিসেবে পেশ করা হয়েছিল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার মনে করেছিল, এই লেখক অন্যান্য বন্দিদের ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে। তাই তাঁকে বিভিন্ন জেলে স্থানান্তরিত করা হয়ে ছিল। ‘প্রলয়শিখা’ কবিতায় কবি কি লিখেছেন? ‘বিশ্ব জুড়িয়া প্রলয়‑নাচন লেগেছে ওই/নাচে নটনাথ কাল‑ভৈরব তাথই থই।/সে নৃত্যবেগে ললাট‑অগ্নি প্রলয়‑শিখ/ ছড়ায়ে পড়িল হেরো রে আজিকে দিগ্বিদিক...।’ জানা গিয়েছে, কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি ব্রিটিশ পুলিসের কানে গিয়ে পৌঁছয়। দেরি না করে পুলিস কবিকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে পাকড়াও করে। দ্রুত মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। সেই মামলায় কবি সাজাপ্রাপ্ত হন। এক অফিসারের কথায়, ‘শহরের এই আদালতে কত গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে কে জানে?’ তবে প্রবীণ আইনজীবীদের একাংশের কথায়, ‘এই শহরের বুকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক বিপ্লবী ও জননেতা ধরা পড়েছেন। আগামী দিনে সেই নথি প্রকাশ্যে এলে সকলেই উপকৃত হবেন।’