ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনটি এবার তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। কারণ, বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে আবার তিনি বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। এবার এই আসনটি দখল করতে চাইছে তৃণমূল। সেই জন্য সৌমিত্ররই প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এদিন অভিষেক বেলিয়াতোড়ের সভা থেকে তাঁকেই জয়ী করার আহ্বান জানান। সৌমিত্রকে আক্রমণে ফালাফালা করে দেন।
অভিষেকবাবু বলেন, সৌমিত্র খণ্ডঘোষে সভা করে বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে নাকি তিন হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন। এদের কথা বিশ্বাস করবেন না। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল সব মিথ্যা। বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার প্রত্যেকটা মা, বোনেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছে, বিজেপি যদি একটা রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করবে না। ক্ষমতা থাকলে দিয়ে দেখান। মোদিজি কী দিয়েছেন? জুমলা, অশ্বডিম্ব। যতদিন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, ততদিন কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না। এটা আমাদের গ্যারান্টি।
তিনি আরও বলেন, সৌমিত্র খাঁ যতদিন তৃণমূলে ছিল আপনারা বলুন তো আপনাদের ১০০ দিনের টাকা বিজেপি আটকাতে পেরেছিল? আপনাদের রাস্তার টাকা আটকাতে পেরেছিল? গরিব মানুষের উন্নয়নের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকাতে পারেনি। যেই বিজেপির জার্সিটা পরেছে আর বিজেপি বিষ্ণুপুরে জিতেছে, বাঁকুড়ায় জিতেছে, সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবাসের টাকা, রাস্তার টাকা, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আজ এত অর্থনৈতিক বাধা-বিপত্তি থাকার পরেও আমরা উন্নয়ন করে চলেছি। সৌমিত্রর উচিত পাঁচ বছরে বিষ্ণুপুরের মানুষের জন্য কী করেছেন, তার হিসেব দেওয়া?
অভিষেক আরও বলেন, ইন্দাসে গত বছর বজ্রপাতের কারণে প্রায় ৫০ জন জখম হয়েছিলেন। আমি ইন্দাসে এসে একজনের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আর্থিক সাহায্য দিয়েছিলাম। একজন মারা গিয়েছিল। সৌমিত্র খাঁকে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের কর্মীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপি দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলে। কিন্তু, মণিপুরে জঙ্গি হামলায় সোনামুখীর এক জওয়ান নিহত হওয়ার পরেও তাঁর বাড়িতে একবার গিয়ে সৌমিত্র জিজ্ঞাসা করেনি, ওই পরিবারে সবাই ভালো আছে কিনা। তাঁকে কি ভোট দেবেন?
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, ওরা বলেছিল গঙ্গাজলঘাটিতে স্টেডিয়াম করব, কিন্তু এক কুড়ুল মাটি পর্যন্ত ফেলতে পারেনি। একটা খুঁটি পুঁতে পাঁচ ওয়াটের বাল্ব লাগায়নি। তাই কানে শুনে নয়, চোখে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার বিপদে এই বিজেপির পরিযায়ী বসন্ত কোকিলদের দেখতে পান না। তৃণমূল কংগ্রেসই পাশে থাকে। তাই সুজাতাকে দিল্লিতে পাঠান। • নিজস্ব চিত্র