যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
পূর্বস্থলীর পলাশপুলি, বেলগাছি এলাকায় কয়েকদিন ধরেই বাসা বেঁধেছে ব্ল্যাক নেপড মোনার্ক বা কালো ঘাড় রাজন। পুরুষ ও স্ত্রী দু’টি পাখি একসঙ্গে রয়েছে। তাদের বাচ্চাও হয়েছে। আর সেই পাখির নানা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন আলোকচিত্রীরা। কালো ঘাড় রাজন দুর্লভ পাখি। সাধারণত এর দেখা মেলে না। পূর্বস্থলীতে কয়েকদিন ধরে ওই পাখি ঘাঁটি গাড়তেই খবর চলে যায় পক্ষীপ্রেমীদের কাছে। শুধু তাই নয়, বেলগাছির দিকে দু’দিন ধরে দেখা মিলছে ইন্ডিয়ান প্যারাডাইসের। সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন আলোকচিত্রীরা।
পূর্বস্থলীর পাখিরালয়ের মাঝি জয়ন্ত প্রামাণিক বলেন, গ্রীষ্মকালীন পাখি এসেছে দেখেই আমাদের কাছ থেকে খবর পেয়েছেন পক্ষীপ্রেমীরা। তাঁরা বড় বড় ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে এসেছেন।
পূর্বস্থলীর পলাশপুলি এলাকার এক নার্শারি মালিক বিমল শীল বলেন, আমার নার্শারিতেই ছোট্ট নীল রঙের পাখি দু’টি বাসা বেঁধেছে। তারপরই প্রচুর ফোটোগ্রাফার এসে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। দমদমের বাসিন্দা আলোকচিত্রী কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, পাখিটির নাম কালো ঘাড় রাজন। আগে খুব দেখা যেত পাখিটি। এখন সচরাচর দেখা মেলে না। গ্রীষ্মকালে এরা ডিম দেয়। দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া সুন্দর বাসা তৈরি করে। চায়ের কাপের মতো দেখতে। তাই আমরা এখন এখানে এসেছি। আর এক আলোকচিত্রী শুভদীপ দত্ত বলেন, পূর্বস্থলীতে নানা ধরনের পাখির দেখা মেলে।
কয়েক দশক ধরে পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গাজুড়েই বিদেশি পাখি আসছে। চুপি, কাষ্ঠশালী, রাজারচর প্রভৃতি এলাকাগুলিতে বিদেশি পাখিদের দেখতে শীতের মরশুমে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসেন। নামী আলোকচিত্রীরা আসেন। পর্যটকদের জন্য ছাড়িগঙ্গার পাড়জুড়ে প্রচুর রিসর্ট গড়ে উঠেছে। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয় ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এজন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলাচ্ছে। এলাকায় প্রচুর রিসর্ট গড়ে উঠছে।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের চুপি এলাকায় ছাড়িগঙ্গায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, তিব্বত প্রভৃতি জায়গা থেকে পরিযায়ী পাখি আসে। পূর্বস্থলীর চুপিতে ৮১টি প্রজাতির ১০হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখির বিচরণ ক্ষেত্র গড়ে ওঠে পূর্বস্থলীর চুপিতে। পাখিদের জলকেলি দেখতে পর্যটকরা আসেন।