একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সান্ত্বনা এবার স্থানীয় সাতবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তার বাবা জয়দেব পোড়েল পেশায় চাষি। মা পূর্ণিমা পোড়েল গৃহবধূ। তিন বোনের মধ্যে শান্ত্বনাই ছিল ছোট। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। সান্ত্বনা পাশ করতে পারেনি। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ফল প্রকাশের দিন রাতেই সে বাড়িতে কীটনাশক খায়। পরিবারের লোকজন কিছুই বুঝতে পারেনি। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গ্রামেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গত ৪মে তাকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়দেববাবু। তাঁকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মৃতার আত্মীয় সুশান্ত পোড়েল বলেন, সান্ত্বনা আমাদের আদরের মেয়ে ছিল। পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হলে ও ভেঙে পড়ে। তার জন্য ও এমনটা করবে ভাবতেও পারিনি। হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও বাঁচাতে পারলাম না।