নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: পুরশুড়ায় আগামী ১৫ মে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পথসভা করে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্যাপক জমায়েতের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। পুরশুড়ার সাঁওতা এলাকার মাঠে সভা হবে। শুক্রবার প্রশাসনিক আধিকারিকরা সভাস্থল পরিদর্শন করেন। দলনেত্রীর পর দলের সাধারণ সম্পাদকের আসার অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা দিন গুনছেন। অভিষেক গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ারের কর্মসূচিতে আরামবাগে এসেছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। সেই সফরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অঞ্চল কমিটি, ব্লক কমিটি, জেলা কমিটি এবং পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানদের মতামত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সদস্যদের প্রার্থী করা হয়। ভোটের ফলাফলে যার ভালো প্রভাব পড়ে। মহকুমার চারটে বিধানসভার বেশিরভাগ পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে যায়। অভিষেক এবার তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে পুরশুড়ায় জনসভা করবেন। তাঁর সভা ঘিরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। 
শুক্রবার পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকরা সাঁওতার সভাস্থল ঘুরে দেখেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থ খতিয়ে দেখেন। অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃশানু রায়, এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিং উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পূর্তদপ্তর, দমকল, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। তৃণমূলের তরফে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়, চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী, পুরশুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি যশোবন্ত ঘোষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 
রামেন্দুবাবু বলেন, আগামী ১৫ মে পুরশুড়ার সাঁওতা এলাকায় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন। জনসভা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে এদিন আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। দলের তরফে জনসভা সফল করার সবরকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, বিপুল সংখ্যক মানুষ জনসভায় আসবেন। পুরশুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি যশোবন্ত ঘোষ বলেন, জনসভার জন্য আমরা ছোট ছোট পথসভা শুরু করে দিয়েছি। মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলছে। ভোটের একবারে মুখে দলনেতার বার্তার অপেক্ষায় রয়েছি।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, গত বুধবার কালীপুর মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় লোক হয়নি। বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে মাঠে উঠতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল দলটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ হয়ে পড়েছে। পুরশুড়ায় যিনি আসছেন তাঁর জনসভাতেও লোক হবে না। এলাকার মানুষ তৃণমূলকে অনেক আগেই ত্যাগ করেছে।