সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্বরূপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশগঞ্জের শিমুলতলায় তীর্থর বাড়ি। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে ৬৪৯ নম্বর পেয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও ভাগীরথী পার হয়ে স্কুলে গিয়েছে। মা-বাবার সামান্য আয়েই সংসার চলে। ইটের গাঁথনির দেওয়াল ও টিনের ছাদ দেওয়া বাড়িতে দু’টি মাত্র ঘর। বাড়িতে তীর্থর বাবা-মা ছাড়াও দিদি রয়েছে।
তীর্থ বাংলায় ৮৬, ইংরেজিতে ৮৩, অঙ্কে ৯৭, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৪, ইতিহাসে ৯৩ এবং ভূগোলে ১০০ নম্বর পেয়েছে। বরাবরই নিজের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে প্রথম হয়ে আসছে সে।
তীর্থ বলল, চারজন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেছি। বাড়িতে যখনই সময় পেয়েছি, পড়তে বসেছি। স্কুলের শিক্ষকরাও খুবই সহযোগিতা করেছেন। আমার ভালো ফলের জন্য সবারই অবদান রয়েছে। দিদি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। আমি আইপিএস অফিসার হতে চাই। কিন্তু বাড়িতে অভাব লেগে থাকে। সরকারি বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থার তরফে সহযোগিতা পেলে হয়তো আমার এই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হবে। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমার ফল আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই স্ক্রুটিনি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখেন্দুনাথ রায় বলেন, তীর্থর রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজিতে বেশ কম নম্বর পেয়েছে। আমরা ওর বাবাকে বলেছি, ভর্তি হতে কোনও খরচ লাগবে না। স্কুল আগের মতোই ওর পড়াশোনার বিষয়টি দেখবে।
নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের ছাত্র তীর্থ বারুই।-নিজস্ব চিত্র