উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কৃষ্ণনগরের বহু রাস্তার পাশেই ডাস্টবিন উপচে জমতে থাকে আবর্জনার স্তূপ। জঞ্জাল পড়ে থাকে দিনের পর দিন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শহরের মূল বাজারগুলি ও জনবহুল এলাকায় নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা হলেও ব্রাত্য থেকে যায় পাড়ার ভিতরের এলাকাগুলি। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুরসভাকে জানিয়েও কোনও কাজ হয় না। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ওই জঞ্জালকেই মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
এব্যাপারে পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারম্যান তথা ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক সৌমেন দত্ত বলেন, জঞ্জাল অপসারণের জন্য আরও কিছু যন্ত্রপাতি আগামীদিনে কেনা হতে চলেছে। কিছু সমস্যা আছে, যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ যাতে করা যায় তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, পুরসভার দাবি, সকাল সাতটা থেকেই ভ্যাট পরিষ্কার শুরু হয়ে যায় শহরে। ৫০টির উপরে ভ্যাট রয়েছে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, শহরের মোড়ে থাকা ভ্যাটগুলি ভর্তি হতে একটু সময় নেয়। ফলে সেটা একটু দেরিতে পরিষ্কার হয়। শহরের বাসিন্দা অসীমা দেবনাথ, সিদ্ধার্থ রায় বলেন, বাড়ির একেবারে পাশেই জঞ্জাল জমতে জমতে পাহাড় হয়ে গিয়েছে। দুর্গন্ধে টেকা দায়। পুরসভাকে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সাফাই কর্মীদের মর্জি মাফিক সেই জঞ্জাল পরিষ্কার হয়। অথচ এমনটা কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়লা ফেলার জন্য পুরসভার ট্রলি সহ ট্রাক্টর রয়েছে। তাতে জঞ্জাল অপসারণের কাজ অনেকটাই সহজ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভার কর্মীরা প্রতিদিন এসে ময়লা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রতিদিন পরিষ্কার হয় না। কোনও কোনও সময় দু’দিন তিনদিন পেরিয়ে যায় কর্মীরা ময়লা সংগ্রহ করতে আসেন না। ময়লা জমে পচে ওঠে। দুর্গন্ধ ছড়ায়। শহরের অনেক ওয়ার্ডে আবার বাসিন্দাদের পাড়ার ভ্যাটে কিংবা ফাঁকা জায়গায় ময়লা ফেলতে হয়। সেই ভ্যাটও নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় এলাকায় দূষণ ছড়াই বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। কারও কারও অভিযোগ, ময়লা তোলার জন্য পুরসভার যে ভ্যান প্রত্যেক দিন আসার কথা তার দেখা ঠিকমতো মেলে না। আবার এই ভ্যান আসার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে।