গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কালচিনি ব্লকে ২৩টি চা বাগান আছে। ব্লকের সব চা বাগানেই কমবেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, মূলত পরিচ্ছন্নতার অভাব ও ডেঙ্গু নিয়ে অসচেতনতার কারণেই কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কালচিনির চা বাগানগুলিতে পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দিয়েছে। আর এই কাজে গতি আনতে চা বাগানগুলির ম্যানেজারকে নিয়ে আগামীকাল, সোমবার জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুপ্রীয় চৌধুরী নিজেই কালচিনি ব্লকের চা বাগানগুলি ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, কালচিনি ব্লকে এই মুহূর্তে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জন। মূলত বাগানগুলিতে পরিচ্ছন্নতার অভাব ও ডেঙ্গু নিয়ে শ্রমিকদের অসচেতনতার কারণেই ওই ব্লকে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তবে আক্রান্তরা ঠিক সময়ে সুস্থও হয়ে উঠছেন। উদ্বেগের কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাগানগুলির নিকাশিনালা সাফ-সুতরো করার উপর জোরও দেওয়া হয়েছে। কাল, সোমবার ওই ব্লকের চা বাগানের ম্যানেজারদের নিয়ে জেলায় বৈঠকেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চা শ্রমিকদের মধ্যে খাবার জলের হাঁড়ি বা পাত্রের মুখ খোলা রাখার প্রবণতা আছে। আর সেই পরিষ্কার জলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা ডিম পাড়ছে। এনিয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের টিম। তবে ভোট দিতে ভিনরাজ্য থেকে কালচিনি ব্লকের প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি এসেছিলেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমান, পরিযায়ী শ্রমিকদের কারণেও ব্লকে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।