একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে না জানিয়ে এবং তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে রেজিস্ট্রার সম্প্রতি একটি চিঠি করেছিলেন। ভিসির অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয় ও দরপত্র কমিটির সভা করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন রেজিস্ট্রার। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে না জানিয়ে রেজিস্ট্রার এসব করেছেন সেজন্য ২৪ এপ্রিল রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলিকে শোকজ করেন ভিসি। সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কাছে জবাব তলব করা হয়েছিল। সেমতো উপাচার্যকে শোকজের জাবাও দেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, এই দাবি করে শুক্রবার আব্দুল কাদের সাফেলিকে সাসপেন্ড করেন ভিসি নিখিলচন্দ্র রায়।
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, রেজিস্ট্রারকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি শোকজের জবাব দিয়েছিলেন। সেই উত্তর পর্যালোচনা করে দেখে যায় সেটি সন্তোষজনক নয়। কিছু তদন্তের প্রয়োজন আছে। সেজন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও নিজের সাসপেন্ডের বিষয়ে দুপুর পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি। সন্ধ্যায় তিনি টেলিফোনে বলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে চিঠি এসেছে। তাতে বলা হয়েছে ভিসির চিঠি বৈধ নয়। আমাকে রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে বিতর্কে জড়ান ভিসি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়কে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন বানিয়ে দিয়েছে। ওই ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য না থাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের তোপের মুখে পড়েছিলে ভিসি। প্রথমে শোকজ পরে রেজিস্ট্রারকে সসপেন্ড, নতুন করে উপাচার্যকে নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা করা যেমন সম্ভব হয়নি, একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পিএইচডি বিষয়ক সমস্যাও হচ্ছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নিখিলচন্দ্র রায়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই অধ্যাপককে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিসি ও রেজিস্ট্রোরের মধ্যে বিরোধ শুরু হতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত এখানে এসে গড়াল।