একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে পরিত্যক্ত শিশুর পরিচয় জানতে পুলিস শিবমন্দির লাগোয়া এলাকার নার্সিংহোমগুলিতে খোঁজ চালাচ্ছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যদপ্তরের আশাকর্মীদের সাহায্য নেবে পুলিস। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিসের তরফে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া মোড়ের কাছে শিবমন্দির ১ নম্বর সত্যেন বোস রোডের একটি পরিত্যক্ত জমিতে পলিথিনে মুড়িয়ে ওই সদ্যোজাতকে কে বা কারা ফেলে যায়। স্থানীয় দুই যুবক উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এভাবে সদ্যোজাত উদ্ধারে প্রশ্ন উঠেছে, কন্যাসন্তান হওয়ায় কেউ ফেলে গিয়েছে, নাকি অবৈধ সন্তানের সামাজিক লজ্জা এড়াতে এই নির্মম কাণ্ড? দু’টি সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সদ্যোজাতের আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাড়ি যেভাবে কেটে বাঁধা ছিল তা হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে করা হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিস জানিয়েছে, ডাক্তারদের এই বক্তব্যকে সূত্র ধরে লাগোয়া এলাকার নার্সিংহোমগুলিতে খোঁজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি নার্সিংহোমে খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সূত্র মেলেনি।
সদ্যোজাতের পরিচয় জানতে প্রয়োজনে আশাকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করেন। কোন বাড়িতে গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তা জানার পাশাপাশি তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, প্রসবের পর কেমন আছেন ওই প্রসূতি সবটাই দেখেন আশাকর্মীরা। শিবমন্দির এলাকায় কোন কোন মহিলা গর্ভবতী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কে কে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং সদ্যোজাত সন্তান তাঁদের কাছে রয়েছে কি না এ খবর আশাকর্মীরাই দিতে পারবেন। এ কারণেই তদন্তে আশাকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আশাকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার আরও একটি দিক রয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ওই সদ্যোজাতের আম্বিলিক্যাল কর্ড যেভাবে কেটে বেঁধে দেওয়া ছিল, তাতে নার্সিংহোমেই শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ, বাড়িতে প্রসব করানোর ব্যাপারে আশাকর্মীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেওয়া রয়েছে। তাঁদের কাছে ‘দাই’ কিট দেওয়া থাকে। তাই পরিচিত আশাকর্মীর সাহায্যে কেউ ‘অবৈধ’ সন্তান গোপনে বাড়িতে প্রসব করিয়ে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে যে তেমন ঘটনা ঘটেনি তা কে বলতে পারে।
এই জায়গা থেকেও ওই সদ্যোজাতের পরিচয় জানার ক্ষেত্রে আশাকর্মীদের কাছ থেকে সূত্রে পাওয়া যেতে পারে বলে পুলিসের একাংশ মনে করছে। এই তদন্তের আশাকর্মীরা আশার আলো দিতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। হাসপাতাল সুপার বলেন, সুস্থ হয়ে ওঠার মধ্যে সদ্যোজাতের পরিচয় বা দাবিদার না পেলে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে আমরা ওই কন্যাসন্তানকে তুলে দেব। আইন মতো তারা হোমে রাখার ব্যবস্থা করবে।