পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই গ্রামগুলিতে এখন শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করেছে। এলাকায় মহানন্দা ও সুই নদীতে পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। ভোট এলেই সেতু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই দাবি পূরণ হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। ফলে সেতুর দাবিতে এবার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে আশঙ্কাতেই হয়তো কোনও প্রার্থী ওই এলাকায় প্রচারে যাননি বলে চর্চা শুরু হয়েছে।
চাঁচলের খরবা পঞ্চায়েতের মহানন্দা নদীর ওপারে ভবানীপুর গ্রাম। সেখানে প্রায় ৩০০ ভোটার। মহানন্দা ও সুই নদী পেরিয়ে চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের জোতমনি, হোসেনপুর, তেলাইগাছি ও মাধাইঘাট গ্রাম। সেখানেও প্রায় ৩ হাজার ভোটার। খরায় নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন বাসিন্দারা। বর্ষায় ডিঙি নৌকা ভরসা। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, পঞ্চায়েত অফিস, রেশন ও হাটবাজার সহ সবকিছুর জন্য নদী পার হতে হয়। রোগী বা গর্ভবতীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় সেই পথেই। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই প্রসব করানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা।
ভোটের আগে একই দাবিতে গর্জে উঠেছেন বাসিন্দারা। ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আলোচনায় বসবেন হোসেনপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় মোজাম্মেল হক বলেন, চারমাস আগে নৌকা না পেয়ে গ্রামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে আন্দোলনও করেছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি। এখনও কোনও প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসেননি। এলে বিক্ষোভ দেখাব।
মোজাম্মেলের আরও অভিযোগ, বিজেপির বিদায়ী সাংসদ পাঁচ বছরে একটি বারও পা রাখেননি এলাকায়। টিভি আর মোবাইলেই শুধু দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে।
এ প্রসঙ্গে চাঁচল বিধানসভার বিজেপি ৫ নং মণ্ডল সভাপতি প্রসেনজিৎ শর্মার কথায়, আমরা প্রতিশ্রুতি দিলে পূরণ করি। এলাকার মানুষ সাংসদকে সমস্যার কথা জানাননি। সেখানে প্রার্থী খগেন মুর্মুকে নিয়ে যাব। সমস্যার কথা শোনা হবে।
ভবানিপুরের ইয়াসিন আলি বলেন, একটি মাত্র পানীয় জলের সাব মার্সিবল। গরম পড়তেই চাপাকলে জল উঠছে না। প্রার্থীরা এলে গ্রামের দুর্দশার কথা জানাতাম। কিন্তু কারও দেখা পাইনি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলবেরুনী জুলকারনাইনের দাবি, আমাদের প্রার্থী দেরিতে ঘোষণা হওয়ায় অনেক গ্রামে এখনও যাওয়া হয়নি। দ্বীপ এলাকাগুলিতে প্রার্থীকে নিয়ে যাওয়া হবে।
মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির কথায়, স্বাধীনতার পরে এতদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকেও ব্রিজ করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে,আমরাই ব্রিজ করব। প্রার্থীকে নিয়ে ওই এলাকায় প্রচার করার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।