বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
চতুর্থ দফার ভোট মিটে গিয়েছে। প্রত্যেকটি দলের কাছেই স্পষ্ট হচ্ছে এলাকাভিত্তিক ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’। আর সবচেয়ে বড় কথা, নরেন্দ্র মোদির ভাষণে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে ৪০০ পারের দাবি। উল্টে মেরুকরণ এবং ‘ইন্ডিয়া’র বাপবাপান্ত করেই সভা ‘মাত’ করছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলের রিপোর্ট অন্যরকম সমীকরণ সামনে আসছে? তাই কি অমিত শাহের কণ্ঠেও বেসুর? হতে পারে তিনি ব্যঙ্গের ঢঙেই ‘ইন্ডিয়া’র প্রসঙ্গ টেনেছেন। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এ ছাড়া উপায় নেই। না চাইলেও বিরোধীদের নম্বর দিতে বাধ্য হচ্ছেন মোদি সরকারের ‘নম্বর টু’। কারণ, এটাই বাস্তব হতে চলেছে।
অমিত শাহ এদিন আরও দাবি করেন, ‘মহাজোট ইন্ডিয়ার সদস্যরা ভেবে রেখেছেন, তাঁরা পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। এক একজনের মেয়াদ এক-দেড় বছর। কিন্তু যদি দেশে কোভিড মহামারী বা সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, তাহলে তাঁরা কি দেশকে বাঁচাতে পারবেন? এক বছরের জন্য নয়, ভারতের প্রয়োজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী।’ বিরোধীরা পাল্টা বলছেন, বিজেপি তো এখন না হয় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে খাড়া করে লোকসভা ভোটে যায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন? তখন তো কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম মোদি-শাহের মুখে শোনা যায় না? তখন কি মানুষ ধরে নেয় যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্বল সরকার হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেত্রীরা সাফ বলছেন, ‘এই ভোট আসলে দেশের পক্ষে, মোদির বিপক্ষে। এই ভোট বিজেপিকে হটানোর। কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, সেটা আজ বিচার্যই নয়।’
তাহলে শাহের এই মন্তব্যের নেপথ্যে কি সংশয় লুকিয়ে আছে? নির্বাচনের শুরুতেও তো ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না মোদি বাহিনীর। এমনকী জিতে এলে কী করবেন, আমলাদের সঙ্গে কোন মিটিংয়ে কী এজেন্ডা হবে, সে সবও প্রচার করে বেড়িয়েছেন মোদি-শাহ। যদিও ভোটপর্ব যত এগিয়েছে, বিরোধীরা ততই উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, ক্ষমতায় ফেরার পথ কঠিন হচ্ছে বুঝেই বিজেপির শীর্ষ মহলকেও সুর বদলাতে হচ্ছে। ছবি: পিটিআই