বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আসেন অধীর। ঘণ্টা দেড়েকের প্রশ্নোত্তর পর্বে খোলামেলা উত্তর দেন তিনি। বহরমপুর আসনে প্রার্থী হিসেবে নিজের লড়াই থেকে রাজ্য ও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। এখনও পর্যন্ত চার দফা লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ১৮টি সহ দেশের মোট আসনের অর্ধেকের বেশিতে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রথমে ‘৪০০ পার’ দাবি করেছিলেন। কিন্তু ভোটের পর্ব যত এগিয়েছে, মোদির মুখে ৪০০ পারের কথা আর তত শোনা যাচ্ছে না। কোথাও গিয়ে তিনি কাঁদছেন, কোথাও গিয়ে আবার হাসছেন তিনি! অর্থাৎ মোদির হাল বেহাল। তিনিও বুঝে গিয়েছেন, বিজেপির ফল প্রতি দফার ভোটেই খারাপ হচ্ছে। একটা সময় মোদি নিজেকে তুলে ধরেছিলেন ‘বীরপুরুষ‘ কিংবা ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে। এখন ভোট যত শেষের দিকে গড়াচ্ছে, তখন তাঁর চোখে-মুখে হাতাশার ছাপ স্পষ্ট হচ্ছে।
এদিনই পরে কল্যাণীতে এক নির্বাচনী সভায় গিয়ে ভাষণ দেন অধীর। সেখানে কংগ্রেসের ভালো ফলেরই প্রত্যয়ী সুর ধরা পড়ে তাঁর গলায়। তিনি দাবি করেন, আবার নতুন করে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে হাত ধরে লড়ছে কংগ্রেস। অধীর আশাবাদী, কংগ্রেস-সিপিএমের জোটের ফল খুব ভালো হবে। তবে তিনি এই দাবিও করেন, তৃণমূলের ফল খারাপ হচ্ছে। তাছাড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে ‘সময়ের দাবি’ বলেই উল্লেখ করেন অধীর এবং এই জোটকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন তিনি।
তবে রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে যে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় এখনও পর্যন্ত ভোটপ্রচারে আসেননি গান্ধী পরিবারের কোনও নেতা-নেত্রীই—না সোনিয়া, না রাহুল কিংবা প্রিয়ঙ্কা। যদিও অধীরের দাবি, ১০ মে মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে আসার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু পরে জানান ১১ তারিখ আসবেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ দফার ভোটে প্রচারের শেষদিন ছিল সেদিন। তাই আমিই রাহুলকে আসতে বারণ করেছিলাম।