নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিরোধীদের শায়েস্তা করতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আগামী সপ্তাহে রাজধানীতে ধর্নার পরিকল্পনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি একা নন, এই কর্মসূচিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতাদেরও শামিল করার চেষ্টা করছেন তিনি। তিনি যখন দিল্লিতে এ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, ঠিক একই সময়ে কলকাতায় চিটফান্ড প্রতারিতদের জড়ো করে পাল্টা ধর্নায় বসার তোড়জোড় করছে সিপিএম। এই কর্মসূচিতে অন্যান্য বাম দলগুলির পাশাপাশি তারা কংগ্রেসকেও পাশে পেতে চাইছে। সেজন্য বুধবার থেকেই উভয় শিবিরের নেতৃত্বের মধ্যে প্রাথমিক ফোনাফুনিও শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও এই ধরনের যৌথ কর্মসূচিতে আপত্তি নেই বলেই শোনা গিয়েছে। তবে এ নিয়ে তারা একবার হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের পাশাপাশি ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকেও একই কারণে শহরে মিছিল বের করা হয়। রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফব’র মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যায়।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারের জন্য রাস্তায় ধর্নায় বসলেও চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের স্বার্থে সেই রাস্তায় হাঁটেননি। এই কেলেঙ্কারির বিষয়ে গঠিত শ্যামল সেন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়া সত্ত্বেও বিধানসভায় তা পেশ করেনি সরকার। ৫০০ কোটির তহবিল গড়লেও তার এক-তৃতীয়াংশ টাকা বিলি করার তথ্য মিলেছে। এত সবের পরও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আস্থাভাজন পুলিস কমিশনারের জন্য রাজপথে ধর্নায় বসেছেন। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক বাতাবরণের মঞ্চ হিসেবে এই কর্মসূচিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।