পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
সারদা সহ সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ ও বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চিঠি দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। রাজ্য পুলিস নয়, সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিতে আদালতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের সঙ্গে মামলা লড়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ লগ্নে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এদিন সোমেন বাবু বলেন, লক্ষাধিক মানুষ চিটফান্ড সংস্থাগুলির হাতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এই আশঙ্কা থেকেই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, মান্নানের মামলা থেকে শুরু করে কংগ্রেস বরাবর প্রতারকদের টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব ছিল। এদিন তিনি বলেন, আমাকেও ওই চিঠির সূত্রে সিবিআই ডেকেছিল। সৎসাহস ছিল বলেই সেখানে গিয়েছিলাম। সহযোগিতা করা কর্তব্য, তাই করেছি। যদিও নরেন্দ্র মোদির সরকার এই কেন্দ্রীয় সংস্থার স্বাধিকার হনন করেছে। এই তদন্ত তাদের নির্দেশেই প্রলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ সোমেনবাবুর। তাঁর প্রশ্ন, কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে ডাকলে তিনি যেতে ভয় পাচ্ছেন কেন? জেরা আটকাতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আবার ধর্নায় বসেছেন, এটা লজ্জার। কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের দাবি, সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের মধ্যে প্রকাশ্যে যে ধস্তাধস্তি হল, তা অভাবনীয়। তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন, কী এমন গোপন বস্তু পুলিস কমিশনারের কাছে আছে, যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্নায় বসতে হল। কংগ্রেস কাউন্সিলার প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভাও সারদার ট্রেড লাইসেন্স বেআইনিভাবে পাইয়ে দিয়েছিল। সেইসব কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে দলের মাথারাও ফেঁসে যাবেন, তাই তদন্ত আটকাতে চাইছে শাসকদল।
এদিকে, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কংগ্রেস তো এ রাজ্যে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ওদের দিল্লির নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এখানে ওরা আবার এনিয়ে মিছিল করছে কেন, প্রশ্ন পার্থর।