পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার অনুষ্ঠিত রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগেই জেলা সম্পাদকদের নিজেদের কোটার আসনগুলির জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম পাঠাতে বলা হয়। প্রতি কেন্দ্রের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে একটি, দু’টি বা সর্বোচ্চ তিনটি নাম আলোচনার জন্য পাঠানো যাবে বলে জানানো হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ের কথা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে যেমন তরুণ, শিক্ষিত, দল এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মতো বিষয়গুলি রয়েছে, তেমনই মহিলা, জনজাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথাও গুরুত্বের মধ্যে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো জেলা নেতৃত্বের তরফে গত কয়েকদিনে একে একে বন্ধ খামে রাজ্য সম্পাদকের কাছে নাম পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাজ্য কমিটির বৈঠকের ফাঁকেও বেশ কয়েকটি জেলার খাম সম্পাদকের দপ্তরে জমা পড়ে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ কেন্দ্রের জন্য দু’টি করে নাম এসেছে। অল্প কয়েকটির ক্ষেত্রে তিনটি নামও রয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। দলের বর্তমান দুই এমপি মহম্মদ সেলিম ও বদরুদ্দোজা খানের নাম যথাক্রমে উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব প্রথম পছন্দ হিসেবেই পাঠিয়েছে তাঁদের বর্তমান কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে। এছাড়া ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে জনা কয়েকের নাম এবারও ঠাঁই পেয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার তালিকায়। আবার অনেক কেন্দ্রের জন্য নতুন মুখও রয়েছে একাধিক।
আলিমুদ্দিনের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, এমপি পদে প্রার্থী করার জন্য নাম নিয়ে দলে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে একটু আগেই নামের তালিকা জেলা থেকে চাওয়া হয়েছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবার আলোচনা করে একটা খসড়া তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও এক দফা কথা বলে নিতে হয়। তারপর ফ্রন্টের বৈঠকে সব নাম পাশ করিয়ে তা ঘোষণা করার নিয়ম। এবার নির্বাচনী সংগঠনও আগাম তৈরি করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা, লোকসভা কেন্দ্র এবং তার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির জন্য একজন করে নির্বাচনী আহ্বায়কের সম্ভাব্য নামও চাওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ জেলা নেতৃত্ব সেই তালিকাও জমা দিয়েছে। শরিক দলগুলির নেতৃত্বকেও তাদের কেন্দ্রগুলির জন্য নাম জমা দিতে বলা হয়েছে।