গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে পুলিসের কাছে পাটুলি এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর নামে ব্যাঙ্ক থেকে নয় লক্ষ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। ইএমআইয়ের মেসেজ আসার পর তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। অথচ তিনি কোনও ঋণই নেননি। জয়ন্ত বলে একজন তাঁর কাছ থেকে আধার সহ বিভিন্ন নথি নিয়েছিল কিছু সুবিধা পাইয়ে দেবে বলে। তাঁর সন্দেহ, সই জাল করে ব্যাঙ্কে কাগজপত্র জমা করে তাঁর নামে ঋণ নিয়েছে ওই ব্যক্তি। তদন্তে নেমে ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে পুলিস যোগাযোগ করে। সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করার পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, জাল নথি জমা দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে এই কায়দায় ঋণ নিয়েছে ওই জালিয়াত। এরপরই তাকে ধরা হয় পাটুলি থেকে।
তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, অভিযুক্ত পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করে। সেই সূত্রে তার কাছে বিভিন্ন লোকজন আসত। তাদের বলা হতো, গাড়ি বুক করতে গেলে আধার বা অন্য কোনও নথি জমা দিতে হবে। অনেকেই তা দিতেন। অন্যের সেই নথি ব্যবহার করে ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন করত সে। সই থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু জাল করা হতো। পাশাপাশি অভিযুক্ত অনেক গরিব মানুষের সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল। তাঁদের বলত, বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকে। তবে তা নিতে গেলে দরকার আধার সহ কিছু নথি। অনেকেই এই টোপ গিলে সেগুলি দিয়ে দিতেন। এরপর তাই দিয়ে ঋণ নিত অভিযুক্ত।
জানা যাচ্ছে, এভাবেই একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এভাবে মোট কত টাকার ঋণ নিয়েছে অভিযুক্ত, তা হিসেব করা হচ্ছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।