নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পৃথক চারটি ঘটনায় ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করল বিএসএফ। উদ্ধার করা সোনার পরিমাণ ৫ কেজি ৮৪০ গ্রামের বেশি। এই চার ঘটনায় একজন বাংলাদেশি মহিলা সহ চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্তে খালি লরিতে সোনা পাচারের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তারপর গোয়েন্দা বিভাগের কাছে আরও একটি খবর আসে। তার ভিত্তিতে একটি খালি লরিতে তল্লাশি করে চালকের কেবিন থেকে ৩০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় উজ্জ্বল মণ্ডল নামে লরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন বুধবার পেট্রাপোলেই যাত্রী টার্মিনালে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে একজন বাংলাদেশি মহিলা যাত্রীর তল্লাশি করা হচ্ছিল। সেই সময় জওয়ানরা তার শরীরে কোনও ধাতু লুকানো রয়েছে বলে বুঝতে পারেন। ওই মহিলার কাছ থেকে দু’টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। দিলরুবা আক্তার নামে ওই মহিলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই বনগাঁর সীমান্ত চৌকি হরিদাসপুরে অভিযান চালিয়ে ১৮টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। বাসে করে সেগুলি পাচার করার ছক করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় বাস থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নাম তাপস রায় ও অভিজিৎ সাহা। এছাড়া ওইদিন পেট্রাপোলে এক যাত্রীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। সে ওই গয়নার সমর্থনে কাজগপত্র দেখাতে পারেনি। ওই ঘটনায় শিবান মণ্ডল নামে ওই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে লরিচালক বিএসএফকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই সোনা পাচার করতে পারলে সে ১০ হাজার ৫০০ টাকা কমিশন পেত। আর বাস থেকে ধৃতরা জানিয়েছে, এক অপরিচিত ব্যক্তি তাদের সোনা পাচার করার টোপ দিয়েছিল। ধৃত বাংলাদেশি মহিলা জানিয়েছে, সে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসছিল। তাকে ১০ হাজার টাকা কমিশন দেবে বলেছিল। সেই কারণে সে সোনা পাচারে রাজি হয়ে যায়।