গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
শেষ ম্যাচে দিল্লি ও লখনউ দু’দলই অবশ্য হেরেছে। রবিবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৪৭ রানে হেরেছে দিল্লি। আর লখনউ শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরেছে। দিন পাঁচেক আগে সানরাইজার্সের কাছে পরাজয়ের পর এলএসজি ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের উদ্দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের তর্জন-গর্জন দেখা গিয়েছিল। জল্পনা ছড়ায় যে, শেষ দুই ম্যাচে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে লোকেশকে। এমন ঘোষণা অবশ্য এখনও আসেনি। তবে এই ম্যাচকে নিশ্চয়ই জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসেবেই দেখতে চাইবেন লোকেশ।
দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থের কাছেও এই ম্যাচের গুরুত্ব বিশাল। মন্থর ওভার রেটের জন্য বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নির্বাসিত ছিলেন তিনি। সেই শাস্তি কাটিয়ে মঙ্গলবার খেলায় ফিরছেন পন্থ। দিল্লি যদি প্লে-অফে না ওঠে তবে এটাই হতে চলেছে এবারের আসরে তাঁর শেষ ম্যাচ। দিল্লি অধিনায়ক নিশ্চয়ই তা চাইবেন না। তবে তাঁকে উদ্বেগে রাখছে দলের পারফরম্যান্স। আরসিবি’র বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ক্যাচ পড়েছে। বোলিংয়েও তীক্ষ্ণতার অভাব। ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। সাত ম্যাচে ২৩৭.৪১ স্ট্রাইক রেটে ৩৩০ রান করে ফেলেছেন তিনি। পন্থ, অভিষেক পোড়েল, ট্রিস্টান স্টাবসও রান পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট।
একই সমস্যা লখনউয়েরও। কুইন্টন ডি’কক নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন লোকেশও। এর ফলে চাপে পড়ছে স্টোইনিস, পুরান, বাদোনি, হুদাদের উপর। আরও বড় চিন্তা বোলিং। গত ম্যাচে কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল সানরাইজার্স। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়া সহজ নয়। তার উপর মায়াঙ্ক যাদব ও মহসিন খানের চোট সমস্যা আরও বাড়িয়েছে।