যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গতবারের রানার্স গুজরাত টাইটান্স। তবে এবার তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে আগেই। ১২ ম্যাচে গিলদের ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট। খুব বেশি হলে তাঁরা শেষ করবেন ১৪ পয়েন্টে। নেট রান রেট এতটা খারাপ যে, কোনও অঙ্কেই শেষ চারের আশা নেই। তাই চাপহীন ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে গুজরাত। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয় তারই প্রমাণ। সিএসকে’র বোলারদের তুলোধনা করে জোড়া সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিল গুজরাত। অধিনায়ক শুভমান গিলের পাশাপাশি সাই সুদর্শনও শতরান হাঁকিয়েছিলেন। তাঁদের এই ফর্ম অটুট থাকলে কেকেআরের বোলারদের কাজটা কঠিন হবে।
গুজরাতের ব্যাটিং বড় বেশি গিল-সুদর্শনের উপর নির্ভরশীল। বাকিরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। ডেভিড মিলারের ব্যাটেও আগের মতো ঝাঁঝ নেই। এই ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরানো হয় কিনা সেটাও দেখার। তবে ঋদ্ধির পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ পাওয়া ম্যাথু ওয়েড গত ম্যাচে ব্যাটই পাননি। মিডল অর্ডারে আছেন রাহুল তেওয়াটিয়া, শাহরুখ খানের মতো ভারতীয় ক্রিকেটার।
তুলনায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং অনেক শক্তিশালী। দুরন্ত ফর্মে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। পাওয়ার প্লে’তে তাঁরা ব্যর্থ হলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বেঙ্কটেশ আয়ার। চোট সারিয়ে ফেরা নীতীশ রানাও ছন্দে আছেন। তবে যাবতীয় চিন্তা ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ারকে নিয়ে। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে খেলিয়ে দেখে নেওয়া উচিত প্লে-অফের আগে। রিঙ্কু সিং ও রাসেল বিধ্বংসী ইনিংস খেলার জন্য পরিচিত। তবে চলতি আইপিএলে খুবই কমই তাঁদের সেই মেজাজে পাওয়া গিয়েছে।
বোলিংয়েও দুই দলের শক্তির ফারাক স্পষ্ট। গুজরাতের পেস আক্রমণে মোহিত শর্মা, উমেশ যাদব, সন্দীপ ওয়ারিয়র আছেন। স্পিন বিভাগ অনেক মজবুত। রশিদ খানের সঙ্গী হতে পারেন নুর আহমেদ। কেকেআরের পেস আক্রমণও আহামরি নয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে কঠিন পরীক্ষায় উতরে যাচ্ছে। তবে স্টার্ককে নিয়ে চিন্তা থেকেই গিয়েছে। মুম্বই ম্যাচে তাঁকে শেষ ওভারে বল দেওয়ার সাহস পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানে হর্ষিত রানা জোড়া উইকেট নিয়ে অন্তিম ওভারে দলকে জিতিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।
গোটা দেশ জুড়ে গ্রীষ্মের প্রকোপ বাড়ছে। ফলে মন্থর হচ্ছে উইকেট। সুবিধা পাচ্ছে স্পিনাররা। ইডেনে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নাইটদের জয়ের দুই অন্যতম কারিগর সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী যে গুজরাতের বিরুদ্ধেও শাহরুখের দলের প্রধান অস্ত্র হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।