গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এখন করিমপুর এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ চাষি কলা চাষ করেন। এলাকায় একাধিক কলা বিক্রির হাটও তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র হোগলবেড়িয়ার রাজাপুরেই পাঁচটি কলার হাট রয়েছে। সেখানে চাষিদের বিক্রি করা কলা ট্রাক বোঝাই হয়ে ভিনরাজ্যেও চলে যাচ্ছে। রহমতপুরের চাষি জীবন মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় মূলত চাঁপা ও সিঙ্গাপুরি কলার চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৮০টি চাঁপা কলার গাছ ও প্রায় ৪০০টি সিঙ্গাপুরি কলার চাষ করা যায়। এক বিঘা জমিতে চাঁপা কলা চাষে ১৩-১৪ হাজার ও সিঙ্গাপুরি কলার জন্য ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ঝড়ঝঞ্ঝা না হলে চাষিদের প্রতি বিঘা জমিতে ভালো লাভ হয়। চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস অবধি কলার চাহিদা বেশি থাকে। এই সময় ভালো দাম পাওয়া যায়। পাইকারি কলা ব্যবসায়ী সুধীরঞ্জন সমাদ্দার বলেন, এই এলাকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে কলাচাষের সঙ্গে যুক্ত। যেমন এলাকার অনেক ট্রাকের মালিক কলা পরিবহণের মাধ্যমেই রোজগার করেন। এছাড়া, অনেক যুবক কৃষকদের জমি থেকে কলা কিনে এনে হাটে বিক্রি করেন। করিমপুর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৪০ ট্রাক কলা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের বর্ধমান, মালদা, সিউড়ি শিলিগুড়ির পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে এই কলা রপ্তানি করা হয়।