গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
আসানসোল ও দুর্গাপুর কার্যত টোয়াইন সিটি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই দুই মেগাসিটি দুটি পৃথক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আসানসোল শহর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুর। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। প্রচারে গরমাগরম কথা বলে যিনি রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েই চলেছেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে জায়েন্ট কিলার হতে চান ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ। তিনিও ছেড়ে কথা বলছেন না। চরকির মতো ঘুরছেন দুর্গাপুরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী শত্রুগ্ন সিনহা। বিজেপির প্রার্থী বর্ষীয়ান সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। দুই প্রার্থীই দুজনের প্রতি শ্রদ্ধা সহকারে প্রচার করছেন। কেউই ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হাটেননি। স্বাভাবিকভাবেই প্রচারে ঝাঁঝ কম আসানসোলে। একেবারে শেষ মুহূর্তে দুই দলই মরিয়া প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে। ২০২২ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে প্রথম বারের জন্য আসানসোল লোকসভা আসন জেতে তৃণমূল। সেবার আসানসোল ও রূপনারায়ণপুরে রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও আসানসোল জয়ের জন্য ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলটি ও আসানসোলে জনসভা করেছেন। শেষ পর্বে প্রচারের ঝড় তুঙ্গে তুলতে চান অভিষেকও।
অন্যদিকে, প্রতিবারই লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোলে প্রচারে আসেন নরেন্দ্র মোদি। এবার তিনি আসেননি, বদলে আসছেন অমিত শাহ। তাঁকে ঘিরেই এখন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আশা। রানিগঞ্জে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে পেতে চায় বিজেপিও। যদিও বিজেপিকে আটকাতে সুপরিকল্পিত প্রচার স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই শুক্রবার অমিত শাহের রোড শোয়ের ঠিক আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য রোড শোয়ের আয়োজন করে শাসক দল। হিন্দিভাষী প্রভাবিত রানিগঞ্জ শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিহারীবাবু প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা রোড শো করেন। হুড খোলা জিপে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও শহর সভাপতি রূপেশ যাদব। অমিত শাহের আসার আগেই নিজেদের জমি শক্ত করে নিল ঘাসফুল শিবির।