উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
রাজীববাবু বলেন, আমাদের দেশের মধ্যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি মানুষের জন্য প্রচুর প্রকল্প নিয়েছেন। এরাজ্যে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু সব বিষয়েই কিছু না কিছু প্রকল্প রয়েছে। কালিয়াগঞ্জবাসী এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করে বিধানসভায় পাঠায়নি। অন্যান্য সব দলকে সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। তাই আজ কালিয়াগঞ্জে ছিটেফোঁটা উন্নয়নও হয়নি। আমি আপনাদের কাছে আবেদন রাখব, ধার বা ঋণ হিসেবে আপনারা আমাদের ভোটটা দিন। আমরা উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করব। ভোটের গণনার পর ১৫ দিনের মধ্যে আমি এখানে এসে কীভাবে নতুন উন্নয়ন করা যায় তা নিশ্চিত করব।
অন্যদিকে প্রবীরবাবু বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সমাজের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছেন। দিনের প্রায় সবটা সময়ই তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করেন। অন্যদিকে বিজেপির দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাদের অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপ হচ্ছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে, বিজেপি দেশের উন্নতি করতে পারবে না। তাই বিজেপি রাজনীতির আঁতুড়ঘর মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও তাদের টলমল অবস্থা। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জেতান। উন্নয়ন আপনাদের সামনে পৌঁছে দেব।
এদিন মন্ত্রী এবং বিধায়ক কালিয়াগঞ্জ গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। বিকেলে চান্দোইল হাট ছাড়াও মহেন্দ্রগঞ্জ শেরগ্রাম এলাকায় গিয়ে মানুষের সমস্যা বুঝে কী করা উচিত সে বিষয়ে মতামত দেন তাঁরা। এনআরসি চালু হলে কী ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে তার একটি খণ্ডচিত্র অসমের ঘটনাকে সামনে রেখে তুলে ধরেন তাঁরা। এর পাশাপাশি সারা দেশে অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে যেভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকায় হাত দিতে হচ্ছে। সেই বিষয়টিও সামনে তুলে আনেন তাঁরা।
অসমের ঘটনাকে সামনে নিয়ে তাঁরা বলেন, এনআরসিতে সেখানে ৩০ লক্ষ লোক ঘরছাড়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু, এক লক্ষ রাজবংশী। তারপরেও বিজেপি প্রচার করছে, হিন্দুদের দেশ থেকে বের করা হবে না। সম্পূর্ণটাই মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখেননি কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির প্রার্থী এবং কর্মীরা বাড়িতে এলে সে বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য তাঁরা মানুষের কাছে অনুরোধ করেন।