বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
নিছক দাবি করাই নয়। এক সাক্ষাৎকারে নিজের দাবি সমর্থনে রীতিমতো হিসেব-নিকেশও পেশ করেছেন বেণুগোপাল। তাঁর দাবি, ‘এবার হিন্দিবলয়ে বিরোধী জোট অনেক ভালো ফল করবে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতেও বিরোধী জোটের থেকে বিজেপি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কর্ণাটকে ২৮টির মধ্যে আমরা দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতব।’ বেণুগোপাল আরও জানিয়েছেন, ‘২০১৯ সালে তেলেঙ্গানায় আমরা মাত্র তিনটি আসনে জিতেছিলাম। কিন্তু এবার তা বেড়ে ১১ থেকে ১২ হবে। কেরলে কংগ্রেস অত্যন্ত ভালো ফল করবে। তামিলনাড়ু বিজেপিকে শূন্য হাতে ফেরাবে। ওখানে জোট সুইপ করবে। মহারাষ্ট্রেও মহাজোট মোট আসনের অন্তত অর্ধেক আসন পাবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘উত্তরপ্রদেশে ১৫ থেকে ২০ আসন বিজেপির হাতছাড়া হবে। ইন্ডিয়া জিতবে ৪০টির মতো আসনে। বিহারেও আমাদের ফল খুব ভালো হবে। আশা করছি, রাজস্থানে ১০টি এবং হরিয়ানায় ৫-৬টি আসনে আমরা জিততে পারব।’
বিজেপির দাবি করেছে, প্রথম চার দফা ভোটেই ২৭০টি আসন তাদের জয় নিশ্চিত হয়েছে। এই দাবি নিয়ে বেণুগোপাল গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ‘ভোটের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪০০টি আসনে জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু, চার দফা নির্বাচনের পর বিজেপি বুঝতে পেরেছে গতবারের অনেক সিট এবার তাদের হাতছাড়া হতে চলেছে। তাই, তারা আতঙ্কে রয়েছে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী ধর্মের নামে নিম্নরুচির আক্রমণ শুরু করেছেন। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মহিলাদের নিরাপত্তা, কৃষিতে সঙ্কটের মতো ইস্যুগুলি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। মানুষ কিন্তু এসব কারণেই মোদি সরকারের উপরে বিরক্ত। তারই প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটের ফলাফলের উপরে।’
কংগ্রেস কী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীকেই বেছে নেবে? বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ‘এখন এই নিয়ে মন্তব্য করার সময় নয়। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা আমরা সবাই মিলে আলোচনায় বসেই ঠিক করব।’