পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ক্ষমতায় এলে তিন তালাক বিল বাতিল করা হবে। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘুদের এক সম্মেলনে এমনই প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস সভাপতি ও তাঁর সঙ্গীরা। তাকে পাল্টা নিতে শুক্রবার বেরিলির এক মহিলার ‘নিকাহ-হালালা’র অমানবিক ঘটনার কথা তুলে ধরেন জেটলি। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে এক সকালের কাগজে সেদিনের ঘটনার খবর পড়ে আম জনতার হৃদয় বিদর্ণ হয়েছিল। অথচ, তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করা তথা সংসদে ঝুলে থাকা সেই বিলকে রাহুল গান্ধী ও তাঁর সঙ্গীরা সংখ্যালঘু সম্মেলনে বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।’ কংগ্রেস সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে জেটলির প্রশ্ন, ‘বেরিলির ওই নিকাহ-হালালা আপনার বিবেককে কি নাড়া দেয়নি?’
এরপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর করা ভুলের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেখানে মুসলিম মহিলাদের ভরণপোষণ নিশ্চিত করেছিল, সেখানে আইন করে শাহ বানু রায়কে বাতিল করে ঐতিহাসিক ভুল করেছিলেন রাজীব। এর ফলে স্বামী পরিত্যক্ত মুসলিম মহিলাদের পথে বসতে হয়েছিল। ৩২ বছর পর তাঁর ছেলে আবার পিছন দিকে হাঁটছেন বলে মন্তব্য করেছেন জেটলি। তাঁর কথায়, ‘সেই সমস্ত পরিত্যক্ত মহিলাকে ওঁর ছেলে (রাহুল) শুধু নিঃসঙ্গতার মধ্যে ফেলে দিতে চলেছেন তা নয়, তাঁরা এমনভাবে বাঁচবেন যেটা মানবজীবনের পরিপন্থী। বেরিলির ওই মুসলিম মহিলাকে পাশবিক জীবনযাত্রায় বাধ্য করা হয়েছিল।’ এরপরেই জেটলি বলেন, ‘এটা ঠিক যে ভোট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, রাজনীতির সুযোগসন্ধানীরা শুধুমাত্র পরের দিনের খবরের শিরোনামের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আর দেশ গঠনকারীদের লক্ষ্য থাকে আগামী শতক।’
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেরিলির ওই মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামী দু’বার তালাক দিয়েছিলেন। ইসলামিক আইন অনুযায়ী তাঁকে নিকাহ-হালালার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। প্রথমবার নিজের শ্বশুরের সঙ্গে, আর দ্বিতীয়বার দেওরের সঙ্গে।