যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
কলকাতায় হোর্ডিং কারবারের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অ্যাড এজেন্সির দশ বছরের আয়কর রিটার্নের নথি পরীক্ষা শুরু করে আয়কর দপ্তর। তাতে দেখা যায়, কলকাতার তিনটি অ্যাড এজেন্সির ব্যবসা কয়েকবছরে বেড়েছে ব্যাপক হারে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তাদের। নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানি থেকেই তাদের হোর্ডিং বুক করা হয়েছে। এরজন্য ভালো টাকার পেমেন্ট পেয়েছে সংস্থাগুলি, যা বাজার চলতি দরের চাইতে অনেকটাই বেশি। তার ভিত্তিতেই ওই তিনটি সংস্থার গড়িয়াহাট, ধর্মতলা, এজেসি বোস রোড-সহ শহরের একাধিক অফিস ও মালিকের বাড়িতে মঙ্গলবার থেকে তল্লাশি শুরু হয়। এই খবর লেখা পর্যন্ত একটি অ্যাড এজেন্সির অফিস থেকে নগদ ৫৫ লক্ষ টাকা মিলেছে। অন্য দুই সংস্থা থেকে পাওয়া গিয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। এর পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আয়কর দপ্তর সূত্রের খবর, এই তিনটি সংস্থার একাধিক কোম্পানি রয়েছে। সেগুলি খোলা হয় ২০১৪-র পর। এই সংস্থাগুলিতে বিপুল পরিমাণ লেনদেন হয়েছে, যা রীতিমতো সন্দেহজনক। এগুলি কাগুজে কোম্পানি বলেই জেনেছেন অফিসাররা। আয়কর কর্তারা আরও জেনেছেন, এই অ্যাড এজেন্সিগুলিতে নগদে কারবার হতো। তদন্তে উঠে এসেছে, অস্তিত্বহীন কোম্পানি থেকে হোর্ডিং বুক করা হয়েছে। এসব আসলে ‘কালো’ টাকা ‘সাদা’ করার ফিকির। এও দেখা গিয়েছে, বিজ্ঞাপনই আসেনি অথচ ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি হয়ে গিয়েছে। যে কোম্পানির নামে ইনভয়েস তৈরি হয়েছে, টাকাও পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে সেখান থেকে। এভাবে টাকা ঘোরাতে সাহায্য করেছে অ্যাড এজেন্সিগুলি। এমনই দাবি আয়কর দপ্তরের।