পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচ কাণ্ডের রিপোর্ট জমা পড়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই রিপোর্ট দেখার পর কলকাতা পুরসভার কৌঁসুলির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘খাতায়কলমে দেখে সবই ভালো লাগছে। আপনাদের নিয়ম আছে, কিন্তু সেগুলি কোনও কাজে লাগে না। আধিকারিকদের কাজ করতে দিন। কোনও কাজের জন্য প্রশাসনিক ইচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছাও থাকতে হবে।’ পুরসভাকে উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনাদের অফিসের সামনে হকার বসে আছে, আপনারা তাঁদেরই সারাতে পারছেন না। আর এই সব নিয়ে আপনারা আইন দেখাচ্ছেন? এগুলি পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’। এ প্রসঙ্গে বিধাননগরে একাধিক বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকগুলি কার্যকর হয়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। অবৈধ বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরানোর ব্যাপারে রাজ্য তার অসুবিধার কথা জানালেও বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কী করা হয়েছে, তার কৈফিয়ত চান প্রধান বিচারপতি। ক্ষোভের সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আবার বেআইনি নির্মাণ হবে, আবার লোক মারা যাবে, আবার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অনেকে গ্রেপ্তার হবেন, আবার তাঁরা জামিনে ছাড়াও পেয়ে যাবেন। তারপর আবার কীভাবে বেআইনি নির্মাণ করা যায়, তার ফন্দি করবেন। ইচ্ছার অভাব থাকলে কাজের কাজ কিছুই হবে না’।
মামলার শুনানির পর এদিন নির্দেশে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে পড়ায় নিহতদের পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আহতদের দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া প্রোমোটার এবং স্থানীয় কাউন্সিলার শামস ইকবালকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘রেজিস্ট্রার অব অ্যাসিওরেন্স’-এর বৈধ অনুমোদন নেই, এমন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে কোনও ধরনের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিতে পারবেন না বলেও নির্দেশে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।