ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সোমবার স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে বলা হয়, ৩৬টি শোরুম বন্ধ করে দিতে হবে। বাড়িগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। কিন্তু সেই শোরুমগুলির কোনও ক্ষতিই হয়নি। মৌখিকভাবে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হলে আমরা শোরুম বন্ধ করতে রাজি হইনি। আমরা লিখিত নির্দেশ দাবি করি। পুরসভা ও পুলিসকে আমরা লিখিতভাবে বিষয়টি জানাই। কিন্তু পরবর্তীকালে মন্ত্রী তাপস রায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে যায়। তবে কারিগরদের সমস্যা এখনও মেটেনি। কী সেই সমস্যা?
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, মোট ৮৫টি ওয়ার্কশপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার সঙ্গে ৩৫০ কারিগরের রুটিরুজি জড়িত। প্রতি বছর কারিগরদের সঙ্গে দু’বার চুক্তি হয় শোরুম মালিকদের। কী শর্তে কত সোনার কাজ হবে, তার চুক্তি হয় পুজোর আগে ও চৈত্র মাসে। কিন্তু ওই ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্কশপগুলির এমন অবস্থা, সেখানে চুক্তিপত্র থেকে শুরু করে সোনা ও গয়না আটকে আছে। একদিকে কাজ বন্ধ, অন্যদিকে নিরাপত্তার দুশ্চিন্তা। যেহেতু কারিগররা বউবাজারে বসে ওই এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য জায়গারও গয়নার অর্ডার নেন, তাই সেখানে গয়নার জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে পুজোর মুখে মজুরি মিলছে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বাবলু দে বলেন, আমরা কারিগরদের সঙ্গে বসব এই সমস্যা নিয়ে। কত টাকার কী কী মাল আটকে আছে ওই ওয়ার্কশপগুলিতে, তার তালিকা তৈরি করে মেট্রো রেলের হাতে তুলে দেব। তবে মেট্রো রেলের কারণে ওই দুর্ঘটনার জন্য কারিগর এবং শোরুম মালিকদের মধ্যে বোঝাপড়ার কোনও অভাব হবে না বলেই দাবি করেছেন বাবলুবাবু। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, বউবাজার কাণ্ডের জেরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কতদিন চলবে জানি না। এতে সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।