অনেক বছর আগে মরমী কথাকার বুদ্ধদেব গুহর একটি ধারাবাহিক উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘মাধুকরী’ নামের বিশাল, বর্ণময়, বেগবান এই উপন্যাসের পটভূমি জঙ্গলমহল। কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষ, যে চেয়েছিল বড় এক বাঘের মতো বাঁচবে। কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে।
আজকের দিনে শিশু-কিশোররা কেউই কেবলমাত্র পড়াশোনার মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ করে রাখে না। অনেকের পছন্দ নৃত্য, গীত, অঙ্কন, খেলাধূলা আবার অনেকেই মঞ্চে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়। মঞ্চে অভিনয় করতে হলে শিক্ষা নেওয়াটা জরুরি।
রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সম্প্রতি ‘চেতলা কৃষ্টি সংসদ’ আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এক নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হল মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয়ে। এই নাট্যোৎসবের বিশেষত্ব হল, এটি ছোটদের নাটকের উৎসব। বড়দের হাত ধরে ছোটদের সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অনুষ্ঠিত এই নাট্যোৎসবে মঞ্চস্থ হয় চেতলা কৃষ্টি সংসদের তিনটি ভিন্ন স্বাদের প্রযোজনা – ‘সাগরের ঢেউ’, ‘Fear-de-আনন্দ’ এবং ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। এছাড়া দেখার সৌভাগ্য হয়, শান্তিপুর সাজঘর-এর ‘লীলা পিসির বন্ধুরা’, আমরা অমলকান্তি (টাকি)র ‘ভাটফুলের গপ্পো’ এবং সুখচর পঞ্চম (সোদপুর)-এর ‘চাণক্য শ্লোক’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয় চেতলা কৃষ্টি সংসদ-এর ‘সাগরের ঢেউ’। বিদ্যাসাগরের বাণীকে চমৎকার এবং অভিনব পন্থার মাধ্যমে শিশুদের মনে অতি সহজেই ঢুকিয়ে দেবার কাজটি অত্যন্ত সাবলীল, সহজ, সরল ভাবে করেছেন নাট্যকার ও নির্দেশক পিনাকী গুহ। অস্থির এই সময়ের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের প্রযোজনা ছোটদের জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজন। শুধু ছোটদেরই বা বলি কেন, আমাদের, মানে বড়দের আমিত্বকে জাগ্রত করতে এই নাটক অবশ্য দেখা উচিত।
উৎসবে মঞ্চস্থ হওয়া প্রতিটি নাটক যেমন শিক্ষণীয়, পাশাপাশি উপভোগ্য। আর্থিক সহায়তা ছাড়া, এইভাবে শুধুমাত্র ছোটদের নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে নাট্যদল চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। সেই অসাধ্যসাধনই করেছেন ‘চেতলা কৃষ্টি সংসদ’-এর অন্যতম প্রতিভূ, তথা নাট্যকার-নির্দেশক পিনাকী গুহ। ছোটদের নিয়ে তাঁর এই পরিশ্রম, নাটকের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা অতীতে যেমন ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। নতুন নতুন প্রতিভাদের উপহার দেবেন, যারা তৈরি করবে, সুদৃঢ় করবে নাটকের ভবিষ্যৎকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয় চেতলা কৃষ্টি সংসদ-এর ‘সাগরের ঢেউ’। বিদ্যাসাগরের বাণীকে চমৎকার এবং অভিনব পন্থার মাধ্যমে শিশুদের মনে অতি সহজেই ঢুকিয়ে দেবার কাজটি অত্যন্ত সাবলীল, সহজ, সরল ভাবে করেছেন নাট্যকার ও নির্দেশক পিনাকী গুহ। অস্থির এই সময়ের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের প্রযোজনা ছোটদের জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজন। শুধু ছোটদেরই বা বলি কেন, আমাদের, মানে বড়দের আমিত্বকে জাগ্রত করতে এই নাটক অবশ্য দেখা উচিত।
উৎসবে মঞ্চস্থ হওয়া প্রতিটি নাটক যেমন শিক্ষণীয়, পাশাপাশি উপভোগ্য। আর্থিক সহায়তা ছাড়া, এইভাবে শুধুমাত্র ছোটদের নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে নাট্যদল চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। সেই অসাধ্যসাধনই করেছেন ‘চেতলা কৃষ্টি সংসদ’-এর অন্যতম প্রতিভূ, তথা নাট্যকার-নির্দেশক পিনাকী গুহ। ছোটদের নিয়ে তাঁর এই পরিশ্রম, নাটকের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা অতীতে যেমন ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। নতুন নতুন প্রতিভাদের উপহার দেবেন, যারা তৈরি করবে, সুদৃঢ় করবে নাটকের ভবিষ্যৎকে।
অজয় মুখোপাধ্যায়
