কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায়ের কথায়, এরাজ্যের কর্মসংস্থানমুখী যে-ক’টি শিল্প রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম টেক্সাইল, হোসিয়ারি বা খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প। অল্প পুঁজির এই শিল্পগুলির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইতিমধ্যেই এমন বেশকিছু পদক্ষেপ করেছে, যা সংস্থাগুলিকে সুরাহা দিয়েছে। বাজার চাঙ্গা না-থাকায় এই শিল্পগুলিতে নগদ জোগানের অভাব রয়েছে। সরকার যদি আরও একটু আর্থিক ত্রাণের ব্যবস্থা করে, তাহলে স্বস্তি পায় শিল্পগুলি। অন্যদিকে আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ এবং সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় বহু মানুষকে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছে। রাজ্য সরকারও তাতে রাজস্ব বাড়াতে পেরেছে। আমাদের আশা, সরকার সেই সুযোগ আগামী অর্থবর্ষেও দেবে। তাতে অক্সিজেন পাবে আবাসন শিল্প।
সুদের হার গত কয়েক মাস ধরে চড়া থাকায়, তা আবাসন শিল্পকে পিছিয়ে দিয়েছে কিছুটা। রাজ্য সরকার যদি সেই সঙ্কট কাটাতে কোনও ব্যবস্থা করে, চাইছে ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও। এখানকার প্রেসিডেন্ট এনজি খৈতানের কথায়, রাজ্য সরকার যদি আবাসন শিল্পকে নতুন করে কোনও আর্থিক সুরাহা দেয়, তাহলে এই শিল্প আরও একটু চাঙ্গা হবে। সম্প্রতি রাজ্য অর্থদপ্তর একাধিক পদক্ষেপ করেছে, যাতে ব্যবসার পথ সহজ হয়েছে। যেমন, রাজ্য পদক্ষেপ করেছে ই-ওয়ে বিল নিয়ে। যদি জব ওয়ার্কের জন্য কোনও পণ্য রাজ্যেরই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়, তাহলে সেই পণ্যের জন্য ই-ওয়ে বিল লাগু হবে না। এই ধরনের উদ্যোগ যত বেশি নেওয়া হবে, ততই সহজ হবে ব্যবসা। আমরা চাই বাজেটে তেমন কিছু ঘোষণা থাকুক।