একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
দুই দলই শেষ ম্যাচে হেরেছে। রবিবার ঘরের মাঠ একানা স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৯৮ রানের বড়সড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে লখনউ। আর সোমবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৬ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজার্সকে। জয়ের সরণিতে ফেরার বাড়তি তাগিদ তাই দুই শিবিরেই রয়েছে।
কেকেআরের বিরুদ্ধে কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয়নি লখনউয়ের। একানা স্টেডিয়ামে প্রথমবার আইপিএলে দুশোর বেশি রান তুলেছিল নাইটরা। আর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৭ রানে দাঁড়ি পড়েছিল এলএসজি’র ইনিংসে। অধিনায়ক লোকেশ স্বীকার করেই নিয়েছিলেন যে, সার্বিকভাবেই হতাশ করেছেন তাঁরা। প্রথম এগারোয় কুইন্টন ডি’কককে বাদ দিয়েই এখন খেলছে লখনউ। কিন্তু ওপেনিংয়ে লোকেশের সঙ্গী হিসেবে ব্যর্থ অর্শিন কুলকার্নি। নিকোলাস পুরান, দীপক হুডা, আয়ুশ বাদোনিদের ব্যাটেও ধারাবাহিকতার অভাব। লোকেশ ও মার্কাস স্টোইনিস বড় রান না পেলে চাপে পড়ে যাচ্ছে ইনিংস। বোলিংয়ে আবার চোট-আঘাত সমস্যা প্রকট। স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদব চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন আইপিএল থেকে। বাঁ হাতি পেসার মহসিন খানেরও মাথায় চোট। কেকেআরের বিরুদ্ধে দু’ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। কনকাসন সাব হয়ে নামাতে হয়েছিল যুধবীর সিংকে। এই পরিস্থিতিতে পেস বিভাগের দায়িত্ব নবীন-উল-হক, যশ ঠাকুর, স্টোইনিসের উপর। তবে স্পিন বিভাগ শক্তিশালী। বাঁ হাতি স্পিনার ক্রুণাল পান্ডিয়া আঁটসাঁট বল করছেন। লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোইও আঘাত হানছেন।
কমলা শিবিরকে আবার ভাবাচ্ছে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং ব্যর্থতা। আরব সাগরের পারে ১৩৬ রানে আট উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক কামিন্স। দলকে ১৭৩ রানে পৌঁছে দেন তিনি। তবে তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সানরাইজার্সের বড় ভরসা দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ট্রাভিস যেমন ৪৪৪ রান করে ফেলেছেন। অভিষেকের সংগ্রহ ৩২৬। কিন্তু প্রতি ম্যাচে তাঁরা বড় রান না’ও পেতে পারেন। তখন মিডল অর্ডারকেই দায়িত্ব নিতে হয়। কিন্তু চোট সারিয়ে ফেরা মায়াঙ্ক আগরওয়াল, হেনরিক ক্লাসেন, নীতীশ কুমার রেড্ডিরা ভরসা দিতে পারেননি নীতা আম্বানির দলের বিরুদ্ধে। সানরাইজার্সের বোলিং আবার পেস-নির্ভর। কামিন্স ছাড়াও ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জানসেন, নটরাজনরা রয়েছেন।