গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস ধরে নলবাহিত পানীয় জল পাচ্ছেন না নবদ্বীপ ব্লকের চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। যদিও এই পঞ্চায়েতে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর জল সরবরাহ প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছিল অনেক আগেই। কিন্তু প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট জমি না মেলায় পিএইচই দপ্তর কাজ শুরু করতে পারেনি। সম্প্রতি এই প্রকল্পের জন্য মোট ২১ কাঠা জমি পিএইচই দপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আবার থমকে গিয়েছিল প্রকল্পের কাজ। শেষপর্যন্ত এবার সেই কাজ শুরু করা গিয়েছে।
রিগ মেশিন অপারেটর সিপাহী লাল বলেন, শনিবার থেকে এখানে আমরা ক্যাম্প করে জল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এখন মাটি কাটা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে মেশিনের মাধ্যমে বোরিংয়ের কাজ শুরু হবে। এখানে রিজার্ভার তৈরি হবে, সেখান থেকেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ির জল সরবরাহ হবে।
চরব্রহ্মনগরের বাসিন্দা গৃহবধূ কাকলী দেবনাথ বলেন, এই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের পানীয় জলের ভীষণ সমস্যা ছিল। প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় ধরে আমরা পাইপ লাইনের জল পাচ্ছি না। দূর থেকে জল আনতে হতো। আশা করছি এখন সেই সমস্যা মিটতে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু সরকার বলেন, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে এই জলের সমস্যা। অধিকাংশ মানুষকে জল কিনে খেতে হতো। অথচ এখানকার অধিকাংশ মানুষের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রীনা দাস বলেন, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের বিগত বোর্ডের প্রধান থাকার সময় এই প্রকল্পটির অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি তৈরির বড় সমস্যা ছিল জমির।
পরবর্তীকালে স্থানীয় তিন গ্রামবাসী জমি দান করেছেন। সে কারণে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি ছ’ মাসের মধ্যেই এই অঞ্চলের মানুষ পিএইচই-র পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পাবেন।
পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, এই প্রকল্পের জন্য পিএইচই দপ্তরকে ২১ কাঠা জমি দেওয়া হয়েছে। সেই জমির মধ্যে প্রায় চার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি হচ্ছে। চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাজদিয়া মৌজায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এই জল প্রকল্পটির মাধ্যমে চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর এবং মাজদিয়া এই তিনটি মৌজার বেশ কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।