যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে এসেছিলেন স্থানীয় দেবগ্রামের বাসিন্দা যক্ষ্মা রোগী মোতাহার শেখ। তিনি জানান, প্রায় একমাসের উপর হয়ে গেল হাসপাতাল থেকে যক্ষ্মার ওষুধ পাচ্ছি না। শেষ শুক্রবারেও এসেছিলাম। কিন্তু ওষুধ পাইনি। ডাক্তারবাবুরা বাইরের ওষুধ কিনে নেওয়ার জন্য লিখে দিয়েছেন। কিন্তু অত টাকা দিয়ে ওষুধ কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই। প্রায় একই বক্তব্য খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আজাহার মোমিনের। তিনি বলেন, কোনও রকমে তাঁত বুনে সংসার চলে। যক্ষ্মা হওয়ার পর সেটাও ঠিকভাবে করতে পারি না। এমন অবস্থায় একমাসের বেশি হয়ে গেল যক্ষ্মার ওষুধ পাচ্ছি না হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একই সময়ে বড়ঞা খড়গ্রাম ভরতপুর ও সালার গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও মাসখানেক ধরে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ অমিল রয়েছে। কান্দি মহকুমা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধের সরবরাহ না থাকার কারণেই এই সঙ্কট দেখা গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার ওই ওষুধ সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়াও অনেক ওষুধ কোম্পানিও যক্ষ্মা রোগের ওষুধ তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সমস্যা সবদিক দিয়ে তৈরি হয়েছে। যদিও কান্দি মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, সাময়িক ভাবে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে এখন ওষুধ চলে এসেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে তা পাঠানোও হচ্ছে। দ্রুত স্বাভাবিক হবে ওষুধ বিলি।
তবে এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ কান্দির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, এর জন্য পুরো দায়ী কেন্দ্র সরকার। যক্ষ্মা রোগের ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্র সরকার। শুধু এখানেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব রোগীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ সরবরাহ করার চেষ্টা করছে।