পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে, বিজেপিকে কৃষ্ণনগর লোকসভায় জেতাতে আদি কার্যকর্তারা কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হবেন সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। এতেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বেআব্রু হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবিবার থেকে আদি কর্তারা ময়দানে নামতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের দাবি, যাঁদের কাঁধে ভর করে কৃষ্ণনগর লোকসভায় বিজেপির উত্থান, সেই সমস্ত আদি কার্যকর্তাদের দূরে রেখেছিল জেলা নেতৃত্ব। ভোটের দু’ সপ্তাহ আগে তাঁদের বিকল্প সংগঠনে যুক্ত করে ভোটের ফায়দা কতটা তোলা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনকী জেলা নেতৃত্বের উপর ক্ষোভের কারণে অনেকেই ময়দান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে পরাজয়ের আশঙ্কায় সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে সুর নরম করেছে গেরুয়া নেতৃত্ব। কারণ বিশেষ করে কৃষ্ণনগর লোকসভায় ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে ভোট হলে লাভ হবে তৃণমূলের।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির আদি কার্যকর্তা রঞ্জন অধিকারী বলেন, যে সমস্ত কার্যকর্তারা এতদিন বসেছিলেন, তাঁরা সকলেই ফের মাঠে নামছেন। তবে তাঁরা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ছাতার তলায় হিন্দুত্ববাদী প্রচার করবেন। লিফলেট নিয়ে তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাবেন।
ভোট মরশুমে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির প্রায় ১৪০০ আদি কার্যকর্তা বসে থাকার বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সকলেই জেলা নেতৃত্বের স্বৈরাচার ও কৃষ্ণনগর লোকসভায় বিজেপির দুর্বল প্রার্থী চয়নের প্রতিবাদ জানায়। কারণ তাঁরা চেয়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কোনও পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদকেই প্রার্থী করা হোক।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বসে যাওয়া আদি কার্যকর্তাদের অধিকাংশই কৃষ্ণনগর লোকসভার বিজেপির শক্তিশালী এলাকাগুলির বাসিন্দা। যাঁদের জন্যই বিগত কয়েক বছরে বিজেপি দ্বিতীয় বিরোধী আসনের জায়গা লাভ করেছে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তাঁরা দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে তাঁরাই, বর্তমান জেলা নেতৃত্বের গোষ্ঠীবাজির শিকার হয়ে ‘স্বেচ্ছাবসর’ নিয়েছিলেন। রাজনীতি থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া বিজেপির আদি কার্যকর্তার সংখ্যাটা ১৪০০। বিষয়টি সামনে আসতেই, আদি কার্যকর্তাদের মানভঞ্জনের জন্য সঙ্ঘকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
বিজেপির এক আদি কার্যকর্তার কথায়, ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে আমাদের যুক্ত করা হচ্ছে। আমার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আপস করছি না। আমরা আমাদের মতো বাড়ি বাড়ি হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী প্রচার করব। আমাদের কর্মসূচিতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে না। মানুষ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’ কিন্তু তারপরেও কতজন ময়দানে নামবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির দাঁত ফোটানো কার্যত অসম্ভব। কারণ ৩৪ শতাংশ মুসলিম ভোট বিজেপি পাবে না, এমনটা ধরে নিয়েই ভোটে লড়তে হচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। আর তাই মুসলিম বিরোধী মানসিকতা নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজেপিকে। সেক্ষেত্রে মুসলিম ভোটে ভাঙন ধরাতে সিপিএমের উপর ভরসা করতে হচ্ছে বিজেপিকে। কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, এটা তৃণমূলের অপপ্রচার। আমরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা, নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জেও প্রচার করছি।