বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, সকালের পর প্রচারে সমস্যা হবে না। সেই সময় জঙ্গলের ভিতরে হাতি থাকছে। একইসঙ্গে বনদপ্তরের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাতি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলগুলিতে হাতি রয়েছে। সন্ধ্যার পর প্রচার করতে যেতে সমস্যা হচ্ছে। সকলকে সাবধানে থাকার বার্তা দিচ্ছি। আশা করছি, বনদপ্তর খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কয়েক বিঘা জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই উদ্বেগে প্রশাসন। কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের হাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় ৯৮টি হাতি রয়েছে। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম, বসন্তপুর এলাকায় ১২টি, সিধাদাঙ্গা এলাকায় ৫টি, খাসজঙ্গল এলাকায় ৫টি, জামবনী, চাউলিশোল এলাকায় ১৪টি, ঘুটিয়া এলাকায় ৫টি, লোধাশুলি, ভাওদা এলাকায় ৪টি, চাকুয়া এলাকায় ২৬টি, মানিকপাড়া, বালিভাষা, বরাশুলি এলাকায় ১৫টি হাতি রয়েছে। হাতি বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুদেব বেরা বলেন, হাতি নিয়ে খুব সমস্যা রয়েছে। নিত্যদিন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বিকেলের পর প্রচার তো অনেক দূরে, বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, হাতির সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। প্রতিদিন মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। প্রচার করতে পারছে না রাজনৈতিক দল।