আমেদাবাদ: লোকসভা ভোট পর্বের মধ্যেই গুজরাতের বিজেপি সরকারের মধ্যে কলহ। রাজ্য প্রশাসনের কাজকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন তিন গেরুয়া বিধায়ক। সরকারি কাজকর্মে দুর্নীতির অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে। জানা গিয়েছে, আয় ও জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ভারাছার বিধায়ক কিশোর কানানি। এব্যাপারে সুরাতের জেলাশাসককে চিঠিও লিখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পর পারিবারিক আয় ও জাতিগত শংসাপত্র পেতে পড়ুয়াদের অহেতুক হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু, সরকারি অফিসেই সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। টাকা দিলেই দু’ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে। একাজে আধিকারিকরাও জড়িত। অন্যদিকে, সরকারি প্রকল্পে যুক্ত কন্ট্রাকটরদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জুনাগড়ের বিধায়ক সঞ্জয় কোরাডিয়া। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে পাঠানো চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, নরসিংহ লেকের সৌন্দর্যায়নের কাজ খুবই ধীর গতিতে চলছে। এপ্রিলেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রথম দফার ৬০ শতাংশ কাজই শেষ হয়নি। ধীরগতিতে কাজ চলার ফলে বর্ষাকালে স্থানীয়দের তুমুল দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আধিকারিকদের বলেও লাভ হয়নি। গতবছরও বিভিন্ন কাজে বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন কোদারিয়া। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছে মাহুধার বিধায়ক সঞ্জয়সিং বিজয়সিং মাহিদা। স্কুলের জন্য নিম্নমানের কুলার কেনার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তিন বিধায়কের মূল বক্তব্য, প্রশাসনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু, সরকার কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। দলের মধ্যে এই বিদ্রোহের আঁচ ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই গুজরাতে সার কোঅপারেটিভের ডিরেক্টর পদে হেরে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ প্রার্থীই। তারপরই দলে অসন্তোষের বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।