অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনে কর্মরত এক অস্থায়ী কর্মী। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যে ঘটনা ইতিমধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে আনা হয়। রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তুলে ধরেছে রাজভবন। ঘটনার দিন ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত সময়ের ফুটেজ সামনে আনা হয়েছে। ওই সময়ে অভিযোগকারী কোথায় যাচ্ছিলেন, তা সিসি কযামেরার ফুটেজে দেখিয়েছে রাজভবন। কিন্তু ওই ফুটেজে শুধুমাত্র অভিযোগকারীকে দেখা গিয়েছে রাজভবনের ওসির ঘরে যেতে। কিন্তু অভিযোগের ‘গভীরতা’ অনুযায়ী ওই ফুটেজ কোনও কাজের নয় বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
আর এই ফুটেজ সামনে আসার পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিযোগকারী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, রাজ্যপালকে আমাকে অসম্মানিত করলেন। আমি অভিযোগকারী, ফলে আমার পরিচয় গোপন থাকবে, কিন্তু রাজ্যপাল আমার ছবি প্রকাশ্যে এনে আমার পরিবারকে অসম্মানিত করলেন। আর কতটা নীচে নামবেন উনি! অভিযোগকারীর আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল পুলিসকে সহযোগিতা করছেন না। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। রাজভবনের স্টাফদের ভয় দেখাচ্ছেন তিনি। কিন্তু আমি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
রাজভবনের ফুটেজ সামনে আসার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন রাজ্যপাল। আর যে ফুটেজ রাজ্যপাল সামনে এনেছেন, তার কোনও মানে নেই, ভিত্তি নেই। ফুটেজ হাস্যকার। ফুটেজ ফুঁ দিয়ে উবে গিয়েছে। তবে রাজভবনের ঘটনা নিয়ে দূরত্ব বজায় রাখছে বিজেপি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে বিজেপি অংশগ্রহণ করবে না। ওটা সাংবিধানিক প্রধানের বিষয়।