একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
হুগলির ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় দেখা গিয়েছে, চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির থেকে স্নেহা ঘোষ রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। স্নেহার যমজ বোন সোহা দশম স্থানে রয়েছেন। স্নেহা বলেন, ‘ফল ভালো হবে জানতাম।’ দুই বোনেরই ইচ্ছা অর্থনীতি নিয়ে পড়ার। এর পাশাপাশি কোন্নগরের বাসিন্দা এবং মাহেশ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ের ছাত্র রুদ্র দত্ত রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। আগামিদিনে চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ৪৯১ নম্বর পেয়েই ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র অভ্রকিশোর ভট্টাচার্য। চুঁচুড়া গ্রিনপার্কের বাসিন্দা অভ্র দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন। তিনিও চিকিত্সক হতে চান। এই স্কুলেরই ছাত্র ঋতব্রত দাস দু’জনের থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেয়ে সপ্তম স্থান পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৯০। মাধ্যমিকে তিনি দশম হয়েছিলেন। অবসর সময়ে তাঁর পছন্দ আঁকা ও কুইজ। তিনিও চিকিত্সক হতে চান। এছাড়া ৪৯০ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান পেয়েছেন আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের মহম্মদ শাহিদ। তিনিও চান চিকিত্সক হতে চান। তাঁর অবসর কাটে গিটার বাজিয়ে। শাহিদের দিদি ডাক্তারির পড়ুয়া। এছাড়া ৪৮৯ নম্বর পেয়েছেন মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ের ছাত্র অস্মিতকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি রয়েছেন অষ্টম স্থানে। কোন্নগরের বাসিন্দা অস্মিতের বাবা মারা গিয়েছিলেন পরীক্ষার আগে। তারপর কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। ফল ভালো হওয়ায় আবেগাপ্লুত। তিনি চান শিক্ষক হতে। অষ্টম স্থান পেয়েছেন আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সোমশুভ্র কর্মকারও। তিনিও ৪৮৯ নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিকে একাদশ স্থানে ছিলেন। চান চিকিত্সক হতে।
চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের পৃথা দত্ত ৪৮৮ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছেন। ভূগোল নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা তাঁর। নবম হয়েছেন চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দিরের ছাত্রী বৃষ্টি পালও। তিনিও ৪৮৮ পেয়েছেন। চিকিত্সক হওয়ার ইচ্ছে তাঁর। কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের সৃজনী ঘোষ দশম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। মাধ্যমিকে দু’নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় আসতে পারেননি বলে আফসোস ছিল তাঁর। এবার ইচ্ছাপূরণ হল। স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে পড়তে চান তিনি। এছাড়া বেগমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৮৭ পেয়েই দশম স্থান অধিকার করেছেন বৃষ্টি দত্ত। তিনি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। রহিমপুর নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৮৭ পেয়েই দশম স্থানে রয়েছেন তৌফিক মামুদ। তিনি ইতিমধ্যেই আইআইটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এছাড়া ৪৮৭ পেয়ে দশম স্থানে রয়েছেন সোহা ঘোষ।
এর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের সৌম্যদীপ সাহা রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন। এছাড়াও এই জেলা থেকে মেধা তালিকায় নাম রয়েছে, নিলয় চট্টোপাধ্যায়, অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ক সাহা, বিতান আহমেদ, সোহম মুখোপাধ্যায় ও শুভজিত্ ঘোষের। অন্যদিকে হাওড়া থেকে মেধা তালিকায় আছেন সুকৃতি মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নাম রয়েছে অহন চক্রবর্তীর।