একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ইপিবিএক্স শাখা সহ সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন রাজভবনে। তাঁদের সবার কাজের মুল্যায়ন হবে। সূত্রের খবর, প্রথমে কর্মীদেরই তাঁদের কাজের আত্মমুল্যায়ন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের রিপোর্ট, যা জমা পড়বে রাজ্যপালের কাছে। আগামী সপ্তাহের আগেই এই সংক্রান্ত ফাইল তৈরি হয়ে যেতে পারে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে রাজভবনে চালু হয়েছে পিস রুম। নির্বাচনের দিনগুলিতেও অভিযোগ আসে এই পিস রুমে। এখানে আসা অভিযোগ তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচন কমিশন ও মুখ্যসচিবের কাছে পাঠায় রাজভবন। পিস রুমেও কর্মরত রয়েছেন বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী।
২ মে রাজভবনে ইপিবিএক্স-এ কর্মরত এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে কলকাতা পুলিস। তবে এ বিষয়ে পুলিসকে কোনওরকম বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল। কলকাতা পুলিসের স্পেশ্যাল এনকোয়ারি টিম বা সেটের তরফে দু’দফায় রাজভবনের ছ’জন কর্মীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনও পুলিসকে সহযোগিতা করতে চাইছেন, সেরকম ইঙ্গিত মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মীদের কাজের মুল্যায়ন শুরু হওয়ার ঘটনা অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজভবনের তরফে এর পরের পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই এখন দেখার।