পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ধর্না কর্মসূচির নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও ঠিক করেননি অশোকবাবুরা। তবে শুক্রবার জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক থেকে তাঁরা এ ব্যাপারে যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন, তা কলকাতায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং ফ্রন্টের রাজ্য চেয়ারম্যান বিমান বসুকে পাঠিয়ে তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে সম্ভাব্য পুলিসি আপত্তির কথা মাথায় রেখে শনিবার থেকে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে অশোকবাবুরা ঠিক করেছেন, মাধ্যমিক শেষ ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর মাঝে যে তিনদিন রয়েছে, তখন কোনও একদিন এই কর্মসূচি করতে। দ্বিতীয় চিন্তা হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষে বিধানসভার দফাওয়াড়ি বাজেটের সময়কে বেছে নিতে চান তাঁরা। সম্প্রতি পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানাদারির পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর কয়েক আগে মেট্রো চ্যানেলে কোনওরকম রাজনৈতিক ধর্না, অবস্থান বা জমায়েত জাতীয় কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছিল পুলিস। তারপরও দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে মমতার প্রতিবাদী ধর্না নিয়ে পুলিস কোনও আপত্তি না তোলায় তাদের ক্ষেত্রেও প্রশাসন সেই পথ নেবে বলে আশা করছে সিপিএম নেতৃত্ব। তবে যেহেতু তাদের কর্মসূচি রাজ্যের বিরুদ্ধে, তাই সেই আশা যে সহজে পূর্ণ হবে না, সেটাও জানে তারা। তাই এখন থেকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার পক্ষপাতী অশোকবাবুরা। পাশাপাশি মেট্রো চ্যানেলে ধর্নার অনুমতি সংক্রান্ত লড়াইকে আদালতের চৌহদ্দিতে নিয়ে গিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রতি রাজ্যের বঞ্চনার ইস্যুটিও সামনে এক ঢিলে দুই পাখি মারা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
শুক্রবার ময়নাগুড়ির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্রের প্রশ্নে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে এক বাক্যে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রতি বঞ্চনার প্রসঙ্গ পাড়েন। তবে মোদি দলীয় সভা থেকে বাম পরিচালিত পুরসভার পুরনো দাবির বিষয়টি উল্লেখ করায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। শাসক তৃণমূল শিবির বলার চেষ্টা করছে, মমতাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অশোকবাবুরা যে তলে তলে বিজেপির হাতে তামাক খাচ্ছেন, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তা না হলে ভিন জেলায় জনসভা করতে এসে মোদি কেন আচমকা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রসঙ্গ পাড়বেন? তবে অশোকবাবু এদিন বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা প্রাপ্য আমাদের। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রী সহ রাজ্যের তামাম আধিকারিকদের বারবার এ কথা জানিয়েছি। শেষমেশ এ নিয়ে মাস কয়েক আগে আমি কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রীর কাছেও দরবার করেছি। সম্ভবত সে কথা জেনেই প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছেন। তবে ওঁর এই কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি। যদিও হাইকোর্ট এবং রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে তড়িঘড়ি সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করে উনি যে নিম্ন রুচির রাজনীতি করেছেন, তাকেও ধিক্কার জানাচ্ছি। আমি শিলিগুড়ির উন্নয়ন ও পুরবাসীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে প্রাপ্য আদায়ের উদ্দেশ্যে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী যে সব কারণে প্রতিবাদে বসেছিলেন, তাকে আমি সমর্থন করি। একই সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে আমাদের। তাহলে আমিও কেন সেই কর্মসূচি করতে পারব না?