ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সোমবারও দেখা গেল, কলেজের ভিতর কন্ট্রোল রুমের সামনে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার বেশ কিছু মানুষ। কাউন্সিলারকেও দেখা যাচ্ছে সব সময়। তিনি এলাকার বাসিন্দা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চিহ্নিত করলে তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১৯টি পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। তারা পূর্ব ঘোষণামতো পাঁচ লক্ষ টাকা করে পাবে। তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, সরকার বা প্রশাসন যা করার বাসিন্দাদের জন্যই করছে। কিন্তু আমাদের পেটের ভাত যে মারা গেল, সেদিকে নজর দিচ্ছে না। এদিনও কয়েকটি সোনার দোকান থেকে অলঙ্কার তৈরির মেশিন, সোনাদানা নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় একাধিক ব্যবসায়ীকে।
এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি লেনের বেশ কিছু বাড়িতে বাসিন্দারা কয়েকঘণ্টার জন্য এদিনও ঢুকতে পেরেছিলেন। তাঁরা বাড়ির ফ্রিজ, আলমারি, টিভির মতো বড় জিনিসপত্রও বের করে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তবে হোটেলের ছোট্ট ঘরে কীভাবে এত জিনিসপত্র রাখবেন, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন একাধিক বাসিন্দা। স্যাকরাপাড়া লেনের বাসিন্দা বিভাস সেন বলেন, একতলার তিনটি ঘরে আমরা বসবাস করতাম। কোনও আসবাব তো সরাতে পারলাম না। তবে আলমারি দু’টো, একটা ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন, টিভি সরাতে পেরেছি। হোটেলের তরফে প্রথম নিষেধ করা হলেও দু’দিনে সরিয়ে নেব বলে কোনওরকমে ঢুকিয়েছি ঘরে। তাতে হোটেলের ওই ছোট্ট ঘর আরও ছোট হয়ে গিয়েছে। এভাবে যে আরও কতদিন থাকতে হবে, কে জানে!