ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার থেকে ভাটপাড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন। পুরসভার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। পুরসভায় ২২০০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন। এর জেরে পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তা, অলিগলি জঞ্জালের স্তূপের চেহারা নিয়েছে। রাস্তায় থাকা ভ্যাটগুলি থেকে উপচে পড়েছে জঞ্জাল, আবর্জনা। কোথাও কোথাও ভ্যাট থেকে জঞ্জাল এসে পড়েছে মাঝ রাস্তা পর্যন্ত।
কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর, ভাটপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ভাটপাড়া পুরসভা। কাঁকিনাড়া স্টেশন থেকে ঘোষপাড়া রোডের দিকে এগতেই দেখা গেল রাস্তার দুই পাশে স্তূপীকৃত জঞ্জাল। স্তূপীকৃত জঞ্জাল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পথচারীরা নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটছেন। এই চিত্র ভাটপাড়া পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে। সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ রাখায় মূল রাস্তাগুলিতেও একই চিত্র। কাঁকিনাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জগদীশ শর্মা বলেন, বাড়ির আবর্জনা প্লাস্টিকে ভরে নিজেই ভ্যাটে দিয়ে আসি। কিন্তু ভ্যাটেও জায়গা আর নেই। রাস্তাতেই ফেলে আসি। বাড়িতে তো জঞ্জাল রাখা যায় না। আরেক বাসিন্দা বললেন, বিজেপি আর তৃণমূলের লড়াইয়ে আমরা ভুক্তভোগী হচ্ছি। আমরা পরিষেবা পাব না কেন?
পুরসভায় পানীয় জলের সরবরাহ অবশ্য সচল রয়েছে। কিন্তু নর্দমা পরিষ্কার হচ্ছে না। গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কর্মী নর্দমা পরিষ্কারে যাননি। ফলে কোথাও নর্দমা ভরাট হয়ে নোংরা জল এসে পড়ছে রাস্তায়। সেই নোংরা জলে পা ডুবিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কাঁকিনাড়া ৫ নম্বর গলির এক বাসিন্দা বলেন, দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। দ্রুত জঞ্জাল সাফাই না হলে এখানে মহামারি হতে পারে।
এদিন সকালে কাঁকিনাড়া বাজারে ঝাড়ু ও বেলচা হাতে সাফাইয়ে নামেন বারাকপুরের বিজেপির এমপি। প্রায় ২০০ মিটার এলাকা তিনি নিজেই সাফাই করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে। এই পুরসভার চার হাজার অস্থায়ী কর্মীর গত পাঁচ মাস ধরে মাইনে বকেয়া রয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ২০১৮-’১৯ আর্থিক বর্ষের ৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা, চলতি আর্থিক বর্ষের ২৬ কোটি টাকা, এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা রাজ্য সরকার বকেয়া রেখেছে। বারবার আমরা চিঠি লিখেছি রাজ্যকে। কিন্তু, টাকা দিচ্ছে না। একারণে অস্থায়ী কর্মীদের আমরা মাইনে দিতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ৭০ কোটি টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে না ভাটপাড়া পুরসভাকে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করব। তিনি বলেন, পুরসভার গেটের সামনে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিস রয়েছে। সাফাই কর্মীদের পুরসভায় ঢুকতে দিচ্ছে না তারা। যদিও নৈহাটির তৃণমূলের বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে হয়। অর্জুন দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন, সবই জানেন। অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন না কেন? ঝাঁটা হাতে নেমে নাটক করছেন। রাজ্য সরকার কোনও টাকা আটকে রাখেনি। মিথ্যা অভিযোগ করছেন উনি।