ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মূলত হাওড়া ময়দান চত্বরে প্রচুর হকার বসেন। বড় দোকানগুলি জিটি রোড ও চিন্তামণি দে রোড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। কিন্তু, মেট্রোর কাজের জন্য ময়দানের বড় অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বঙ্গবাসী মোড় থেকে ফাঁসিতলা মোড় পর্যন্ত কয়েকশো হকার বড় দোকানের সামনে বসছে। এমন অবস্থায় আছে যে, মেট্রোর ঘেরা অংশ ও বড় দোকানগুলির মধ্যে একটি সাইকেল নিয়েও যাওয়ার রাস্তা নেই। সেখানে প্রচুর কাপড়ের দোকান, রেস্তরাঁ ও অন্যান্য দোকান আছে। লোকজনকে সেখানে যেতে হলে ওই ফুটপাতের দোকানের ভিড় ঠেলে যেতে হয়। এর ফলে অনেকেই এই ভিড় এড়াতে সেখানে যান না। তার ফলে গত কয়েক বছর ধরে তাঁদের ব্যাবসা মার খাচ্ছে।
ময়দানের একটি কাপড়ের দোকানের কর্ণধার সুরেশ মিশ্র বলেন, আমার দোকানে লোকজনকে ঢুকতে গেলে প্রচুর ভিড় এড়িয়ে ঢুকতে হয়। এর জন্য অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা শিশু দোকানে ঢুকতে পারে না। এর জন্য কয়েক বছর ধরে আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। ভেবেছিলাম এবছরের মধ্যে মেট্রোর কাজ শেষ হয়ে গেলে হকারদের আবার সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, এখন কী হবে তা বুঝতে পারছি না।
একই কথা বলেছেন জি টি রোডের ধারের এক স্বর্ণ দোকানের মালিক মনোজ আগরওয়াল। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে হকারদের জন্য আমাদের ব্যবসা খুবই মার খেয়েছে। কারণ আমাদের দোকানের সামনের অংশ পুরো হকাররা দখল করে রেখেছে। পুরসভার কাছে এই নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, পুরসভা জানিয়েছিল, মেট্রোর কাজের জন্য আপাতত হকারদের সেখানে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ হলে প্রত্যেকের দোকানের সামনের অংশ খালি করে দেওয়া হবে। কিন্তু, এখন কবে কাজ শেষ হবে তা বুঝতে পারছি না। কত বছর এইভাবে ব্যবসা মার খাবে তা জানি না। জি টি রোডের ধারে আর এক কাপড়ের দোকানের মালিক স্বপন পোদ্দার বলেন, হকাররা পুরো দোকানের সামনের অংশ দখল করে আছে। তার জন্য আমার দোকানের সাইনবোর্ডও জি টি রোড থেকে দেখা যায় না। যাঁরা নতুন খরিদ্দার তাঁরা এখানে দোকান আছে, তা বুঝতেও পারেন না। তাছাড়া পরপর হকারদের স্টল যেভাবে রয়েছে, তার জন্য দোকানে ঢুকতে গেলে অন্তত ৫০টি স্টল পার হয়ে আসতে হয়। এই কারণে আমার ব্যবসা গত কয়েক বছর ধরেই মার খাচ্ছে। এখনও পুরসভা এই হকারদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও চিন্তাভাবনা করছে না। তাই কী হবে তাই বুঝতে পারছি না।