ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পটারি রোডে কামারডাঙা সাধারণ দুর্গোৎসব সমিতির পুজো এবার শততম বর্ষে পড়ল। এবারের থিম ‘জয় বাংলা’। মণ্ডপে তুলে ধরা হবে গ্রামবাংলার চোখ জুড়ানো শিল্পকলা। মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির দুর্গাপুজো এবার ৭৭ তম বর্ষে পড়ল। এবারের ভাবনা ‘সোনার তরী’। মণ্ডপ সেজে উঠবে পালতোলা নৌকার আদলে। বিশাল দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপে থাকছে নানান পিতলের কাজ। মণ্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই মাতৃপ্রতিমা। আলোতেও নানা বৈচিত্র। উত্তর কলকাতার হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার পুজো এবার পা দিল ৮২ তম বর্ষে। কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ। থিমের সঙ্গে থাকছে মানানসই প্রতিমা। সোনাগাছির যৌন কর্মীদের পুজোয় এবার মা দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকবে পরিবেশ বান্ধব নানা পোস্টার। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, মণ্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে যৌন কর্মীদেরই হাতে আঁকা নানা ছবি এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে।
পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লির পুজোয় এবারকার থিম ‘পরিবর্তনের আলোর ফাঁকে, ভুলতে কি পারি অতীতটাকে’। মণ্ডপ সেজে উঠছে কার্ডবোর্ড, মাটির পুতুল, রং, তুলো, প্লাস্টার অব প্যারিস প্রভৃতি দিয়ে। শিল্পীর রং তুলির আঁচড়ে মণ্ডপজুড়ে তুলে ধরা হচ্ছে অতীত ও বর্তমান প্রজন্মের নানা ভালোলাগা ভালোবাসার জায়গাগুলিকে। প্রতিমা সাবেকি। হাতিবাগান নবীন পল্লির পুজোর থিম ‘লাইফলাইন’। প্রতিদিন শরীর চর্চার মাধ্যমে কীভাবে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখা যায়, সেই বার্তাই তুলে ধরা হবে মণ্ডপজুড়ে। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, থিমের সঙ্গে চমকে দেওয়ার মতো থাকছে মাতৃপ্রতিমাও। ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতির পুজোয় এবারকার ভাবনা ‘মিলনে মহান’। ফেলে দেওয়া নানা জিনিস, যা আপাতভাবে মনে হয় কোনও কাজে লাগবে না, সেসব দিয়ে সেজে উঠবে এখানকার মণ্ডপ। প্রতিমা শিল্পী নব পাল। মণ্ডপের সঙ্গে থাকছে মানানসই আলোর কেরামতি। রবীন্দ্র কানন সর্বজনীনের পুজোয় এবার মণ্ডপ সেজে উঠছে মাদুরাইয়ের একটি সুদৃশ্য মন্দিরের আদলে। হোগলা পাতা, বাঁশের টুকরো সহ নানা উপকরণে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপের ভিতরের অংশ। শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘের পুজোয় এবারের থিম ‘রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন’। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এখানকার মণ্ডপে দর্শকরা এলে ট্রাম সম্পর্কে জানতে পারবেন নানা ‘কথাকাহিনী’। বেলগাছিয়া সাধারণ দুর্গোৎসবের থিম ‘বুনন গাঁথা’। ছোট খাটিয়া দিয়ে এবং বাঁশের নানা কারুকার্যে সেজে উঠবে এখানকার মণ্ডপ। অসংখ্য বাঁশ দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপের মূল প্রবেশ দ্বার। এখানকার দুর্গাপ্রতিমায় থাকবে দড়ির নানা কাজ। মণ্ডপে থাকবে ঝাড়বাতি। মানুষের ‘বন্ধন’ বোঝাতে এই থিমকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। হরি ঘোষ স্ট্রিট সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো এবার পা দিল আশিতে। এখানকার ভাবনা ‘বর্ণপরিচয়’। উদ্যোক্তাদের কথায়, বর্ণপরিচয়ের মাধ্যমে পণ্ডিত বিদ্যাসাগর মহাশয় বাংলার ঘরে ঘরে আজও শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে চলেছেন। তাই তাঁর জন্মের দ্বিশতবর্ষে আমাদের এই শ্রদ্ধার্ঘ্য। এখানে মণ্ডপটি বাংলা বর্ণমালার বর্ণময় ছটায় সেজে উঠবে। পুজোমণ্ডপের ভিতরে দেখা যাবে ছোট ছোট শিশুদের পঠন পাঠন। সব মিলিয়ে বর্ণপরিচয়ের স্মৃতিমেদুরতায় আচ্ছন্ন হবেন দর্শকরা।