গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
গত বছর রোহিতের নেতৃত্বে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। তবে খেতাবি ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মেন ইন ব্লুকে। সেই আক্ষেপ টি-২০ বিশ্বকাপে মিটবে কিনা, তা সময় বলবে। তবে রোহিত খেতাব জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কারণ তিনি জানেন, একজন ক্রিকেটারের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের থেকে বড় কিছু হতে পারে না। সেই অধরা মাধুরী তিনি স্পর্শ করতে চান। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই দলে ছিলেন রোহিত।
দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্রিকেট জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন হিটম্যান। একটা সময় তাঁর পিঠে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল সাদা বলের ক্রিকেটারের তকমা। তাই দেরিতে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই গতবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল ভারত। বড় মঞ্চে টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতা নতুন নয়। অধিনায়ক বদলেও চাকা ঘোরেনি। রোহিতের কথাতেও ঝরে পড়ল আপসোসের সুর। তিনি বলেছেন, ‘১৭ বছর ধরে খেলছি। অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়াটা যথেষ্ট গর্বের। তবে কখনও কখনও হিসেব কষতে গিয়ে দেখেছি, উত্থানের চেয়ে অনেক বেশি পতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। তবে সেটা আমাকে দমাতে পারেনি। বরং মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে। সেই কারণেই আজ এই জায়গায় নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি। কখনও নিজের জন্য খেলি না। সব সময় প্রাধান্য দিয়েছি দলের স্বার্থকে। অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছি, সবাই একটাই লক্ষ্যে খেলব। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিলাম। কিন্তু রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযানে নামব। খেতাব জেতাই একমাত্র লক্ষ্য। আশা করি, ট্রফি জিতেই দেশে ফিরব।’
একই সঙ্গে রোহিত স্পষ্ট করেছেন, আরও বেশ কয়েক বছর দেশের হয়ে খেলতে চান তিনি। ২০২৬ সালে ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ সালে আফ্রিকা মহাদেশে বসবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর। রোহিত হয়তো আরও একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চাইছেন বলে ধারণা ক্রিকেট মহলের।