যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
সেভাবে দাঁত ফোটাতে না পারলেও কয়েকটি পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করার মধ্য দিয়ে উত্তর কাঁথিতে বিজেপি আগের তুলনায় কিছুটা হলেও শক্তিশালী হয়েছে, একথা বলাই বাহুল্য। একটা সময়ে ভোট এলেই উত্তর কাঁথির শুনিয়া, ভাজাচাউলি প্রভৃতি এলাকায় সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উঠে আসত। সেই সন্ত্রাস এখন অতীত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটে লিড বাড়িয়ে উত্তর কাঁথির কর্তৃত্ব নিজেদের দখলে আনতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক বিধানসভাজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এক বা একাধিকবার প্রচার সেরে ফেলেছেন তিনি। তরুণবাবু সহ অন্যান্য নেতারা উত্তমের সমর্থনে প্রচারে নেমেছেন। সভা, মিছিল জোরকদমে চলছে। দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী, বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী উর্বশী ভট্টাচার্যও।
জুনপুট থেকে এগিয়ে উত্তরে দৌলতপুর পর্যন্ত সমুদ্রতীর বরাবর ঝা চকচকে পাকা রাস্তা। সেই রাস্তা গিয়ে মিশেছে মুকুন্দপুর-পেটুয়াঘাট রাস্তার সঙ্গে। দৌলতপুরের অদূরেই পেটুয়াঘাটে রয়েছে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘দেশপ্রাণ মৎস্যবন্দর’। পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। চলছে আরও নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। স্থানীয় বাঁকিপুটে সমুদ্রবাঁধের উপর আড্ডা দিচ্ছিলেন এলাকারই বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ জানা সহ কয়েকজন যুবক। সূর্যনারায়ণ বলেন, উত্তর কাঁথি এলাকায় বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাঘাট, পানীয় জল, আলো থেকে শুরু করে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। আগে তো কিছুই ছিল না। বিরোধীদের সেভাবে মাঠেও দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, উন্নয়ন কই? দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর আজও চালু হয়নি। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত দারিয়াপুরকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি থাকলেও তা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এলাকায় এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে। দিকে দিকে না পাওয়ার যন্ত্রণা। তার জবাব মানুষ ভোট বাক্সেই দেবেন। উত্তর কাঁথিতে বিজেপিই লিড দেবে। মানুষকে উন্নয়ন ও সুশাসন দেবে বিজেপি সরকারই। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস কর মহাপাত্র বলেন, তৃণমূল ও বিজেপি, দু’টি দলই আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। পরিবর্তন চাইতে আমরা প্রচারে মানুষকে বাম-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন করার কথা বলছি।
তরুণবাবু বলেন, উত্তর কাঁথিতে তৃণমূলের সম্মানজনক মার্জিন বাড়ানো এবং বিধানসভা ভোটের আগে জমি শক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। উত্তমবাবুকে জেতাতে আমরা মাঠে নেমেছি। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সমুদ্রসাথী সহ নানা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। বিজেপি সরকার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প কিংবা আবাস যোজনায় বরাদ্দ বন্ধ করে বঞ্চনার রাজনীতি করছে। প্রচারে এগুলোই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা বিকাশ বেজ বলেন, এলাকায় পানীয় জল, রাস্তাঘাট সহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কাজ হয়েছে। বিজেপি সর্বত্র অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। উত্তম বলেন, প্রচারে বেরিয়ে মানুষের কাছে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি।