একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বলেই রবীন্দ্র ভবনের কাজ অর্ধেকও এগোয়নি। সাংসদ একটা টাকাও খরচ করেননি।
ষাটের দশকে শহরের বোসপাড়ায় রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল। ২০০০ সালের ভয়াবহ বন্যায় সেটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে প্রায় ভেঙে যাওয়া ভবনকে নতুনভাবে তৈরির ভাবনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাম আমলে এনিয়ে উদাসীন ছিল সরকার। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১২ সালে কবিগুরুর জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে কেন্দ্র-রাজ্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রের ক্ষমতায় তখন ছিল ইউপিএ-২ সরকার। রবীন্দ্রভবন পুনর্নির্মাণে সেই কমিটি হাত দেয়। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৭ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করে দেয়। সেই টাকা দিয়ে ওই বছরই ভবন নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হয়। কিন্তু এরপর কেন্দ্র টাকা না দেওয়ার কারণে কাজে ইতি পড়ে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে পুরো প্রকল্পটাই তুলে নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রায় এক যুগ হল রবীন্দ্র ভবন আর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার অবশ্য বলেন, আমিও চাই রানাঘাটে রবীন্দ্রভবন আবার নতুন করে তৈরি হোক। কিন্তু রবীন্দ্র ভবন তৈরির সময় রাজ্যের তরফে যে প্রস্তাবিত খরচ দেখানো হয়েছিল, সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা যাচাই করে দেখা হয়নি। সেকারণেই কেন্দ্র নতুন করে টাকা বরাদ্দ করেনি।
এই টানাপোড়েনে হতাশ সংস্কৃতিপ্রেমী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা। তাঁরা জানালেন, সাংসদ ল্যাড থেকেও তো জগন্নাথবাবু গত পাঁচ বছরে খরচ করতে পারতেন। কিন্তু সেটাও তিনি করেননি।
শহরের প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, পুরনো রবীন্দ্র ভবনে অনেক বড় শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন। আর এখন সেখান থেকে শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যায়। তাঁরা চান, যিনিই এবার সাংসদ নির্বাচিত হবেন, তিনি যেন এই ভবন সংস্কারের দায়িত্ব নেন।