উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তৃণমূল মাথার উপর থেকে হাত তুলে নেওয়ায় গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের ওই দাপুটে নেতা কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। পুলিসও তাকে ধরতে তৎপর হয়েছে। রায়গঞ্জ মহিলা থানার তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, রেজাউল হকের বিরুদ্ধে এক যুবতীকে অপহরণের চেষ্টার একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিস তাকে খুঁজছে।
রেজাউল অঞ্চল সভাপতি ছাড়াও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে রেজাউল দিনের পর দিন এলাকায় তাঁর প্রভাব বাড়াতেই থাকে। তার বেপরোয়া আচরণে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, সম্প্রতি নরম কলোনি গ্রামে এক যুবতীর অশ্লীল ছবি সে পোস্ট করায় বিতর্ক শুরু হয়। ওই যুবতী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিসে অভিযোগ করতেই রাতে ওই যুবক-যুবতীকে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া দাপুটে ওই নেতা। গত ৯ নভেম্বর গভীর রাতে যুবতীকে বাড়ি থেকে তুলে নিতে একদল দুষ্কৃতী নরম কলোনি গ্রামে যায়। বাসিন্দাদের ধাওয়া খেয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও ভোরের আলো ফুটতেই দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সেখানে অবরোধ চলে। রেজাউলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বাসিন্দারা পুলিসের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদলের জেলা নেতারাও।
দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, দল কখনোই কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। দলের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ সেটা করার চেষ্টা করে তিনি পার পাবেন না। আমরা পুলিসকে বলেছি পুলিস যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও দলীয় স্তরে প্রাথমিক তদন্তের পর তাকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেজাউলকে গ্রেপ্তারর করা না হলে সামনের শনিবার এলাকায় ফের পথ অবরোধ হবে। এরফলে উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল। রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিসও রেজাউলকে ধরতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তকারী অফিসার বলেন বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েও রেজাউলকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে খুব দ্রুত সে ধরা পড়বে।