একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত কয়েকমাস ধরে সন্দেশখালি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য সহ দেশের রাজনীতি। নারী নির্যাতনকে সামনে রেখে মহিলা ভোট নিজেদের ঝুলিতে আনতে মরিয়া চেষ্টা করে বিজেপি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বিজেপির ঘরে কার্যত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করে তৃণমূল। সন্দেশখালি ২ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের একটি স্টিং ভিডিও সামনে আনে তৃণমূল। এরপর কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেতে শুরু করে তারা। আর এরপরেই বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে সন্দেশখালি থানায়। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের সম্মানহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এ নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে বিজেপি নেতারা। পুলিসের একটি বিশেষ সূত্রের খবর, গঙ্গাধর ছাড়াও বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি সন্দেশখালি ১ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শান্তি দোলুইকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে অস্ত্র নিয়ে একটি বেফাঁস ভাইরাল মন্তব্য নিয়ে। এ বিষয়ে বসিরহাটের পুলিস সুপার মেহেদি হোসেন রহমান বলেন, গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় ওই মামলা রুজু হয়েছে।
এ নিয়ে বারাসতে নমিনেশন কর্মসূচিতে এসে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান নিয়ে গঙ্গাধর অনেক কিছু বলেছেন। তাতে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামও বলেছেন। ওই ভিডিও নিয়ে গঙ্গাধর কখনও বলছেন, ওটা তাঁর নিজের গলা। আবার কখনও বলছেন তাঁর গলা নয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। গঙ্গাধর নিজেই জালে জড়িয়ে গিয়েছেন। এখন সেখান থেকে তিনি বের হতে চাইছেন। তাই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।