একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় বারামতী আসনে ভোটগ্রহণ ছিল। কিন্তু তার দু’দিন পর বৃহস্পতিবার অজিত শিরুরে প্রচারে গিয়ে তাত্পর্যপূর্ণভাবে মন্তব্য করেন, তাঁর কাকার (শারদ) বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। অজিত বলেন, ‘শারদ পাওয়ার বারামতী লোকসভা আসনের প্রার্থী ছিলেন না। পাতিল ভুল মন্তব্য করেছিলেন। ওই ঘটনার পর আমরা ওঁকে বারামতীতে প্রচার করতে বারণ করেছিলাম ও পুনেতে প্রচারে পাঠিয়ে দিই। পরে অবশ্য এই বিষয়ে তিনি আর কিছু বলেননি।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, অজিত যেভাবে শারদের প্রতিষ্ঠিত দল এনসিপি-র নাম ও প্রতীকও ছিনিয়ে নিয়েছেন, তা বারামতীর অনেকরই পছন্দ হয়নি। কারণ শারদের বেড়ে ওঠা ও রাজনীতির শুরু—সবই বারামতী থেকে। তাই তিনি যে ওই আসনে এখনও ফ্যাক্টর, তা সকলেই মানেন। তাই অজিত নিজেও প্রচারে শারদকে আক্রমণ করেননি। কিন্তু চন্দ্রকান্তের মন্তব্যের ফলে শারদ নিজের প্রতি বারামতীর আবেগ টেনে আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে মত অনেক রাজনৈতিক নেতারই। আর তাতেই নিজের ক্ষোভ লুকোতে পারেননি অজিত। একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের বাকি আসনেও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাও করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, শুধু প্রকাশ্যে নয়, গত বুধবার বিজেপি জোটের বৈঠকেও চন্দ্রকান্তের বক্তব্য নিয়ে তিনি যে অখুশি, তা অজিত বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম থেকেই বারামতীর দিকে নজর ছিল সকলের। বারামতী আসনে এনসিপি (অজিতপন্থী)-র হয়ে নিজের স্ত্রী সুনেত্রাকে প্রার্থী করেছিলেন অজিত। তাঁর বিপক্ষে এনসিপি (শারদপন্থী)-র হয়ে তিনবারের সাংসদ তথা শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে প্রার্থী হন। বৌদি আর ননদের মুখোমুখি লড়াই নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে।
তবে বিজেপি এখনও শারদ পাওয়ারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। অজিতের মন্তব্য নিয়ে মহারাষ্ট্রের আর এক উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ‘চন্দ্রকান্ত পাতিল তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। আমিও একাধিকবার বলেছি, বারামতীতে নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে লড়াই হয়েছে। শারদ পাওয়ারকে নিয়ে এখানে কোনও প্রশ্নই নেই।’
শারদপন্থী এনসিপি নেতা অমল কোলহের বক্তব্য, ‘অজিত চন্দ্রকান্তের বক্তব্য নিয়ে অখুশির কথা জানিয়েছেন, কিন্তু শারদ পাওয়ারকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে কিছু বললেন না।’ পুনেতে প্রচারে এসে শারদকে ‘উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো আত্মা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।